ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এইচআরটি ব্যবহারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি দ্বিগুণ

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ৩১ আগস্ট ২০১৯

এইচআরটি ব্যবহারে ব্রেস্ট  ক্যান্সারের ঝুঁকি দ্বিগুণ

হরমোন প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসায় (হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি) এইচআরটি ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি আগে যা অনুমান করা হয়েছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়, ক্যান্সারের প্রত্যক্ষ কারণ হলো এইচআরটি। ব্রিটেনের যে ১০ লাখ নারী এইচআরটি ব্যবহার করছেন গবেষণার এই তথ্য তাদের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দেবে। এছাড়া বিশ্বের লাখ লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যেও আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দেবে। গবেষণাটি ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, নারীরা যত দীর্ঘদিন এই চিকিৎসা গ্রহণ করবে, তত তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়বে। তবে এক বছর ব্যবহার ঝুঁকিমুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, মহিলারা এটা ব্যবহার বন্ধ করলেই ঝুঁকি একেবারে চলে যাবে না, আগে যেমনটা অনুমান করা হয়েছিল। ব্রিটেনে ওষুধের লাইসেন্স প্রদানকারী সংস্থা পরামর্শ দিয়েছে, অতীতে যেসব নারী এইচআরটি ব্যবহার করেছেন বা এখনও ব্যবহার করছেন তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সজাগ থাকতে। এদিকে রয়্যাল কলেজ অব জেনারেল ফিজিশিয়ান্স আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তাদের। তবে তারা যদি উদ্বেগ বোধ করে, তাহলে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, গড়পড়তা ওজনের প্রতি ৫০ মহিলার মধ্যে একজন প্রতিদিন অস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টোজেনের সমন্বয়ে চিকিৎসা নিলে পাঁচ বছর পর তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হবে। এই ঝুঁকি আগে যেটা অনুমান করা হয়েছিল, তার চেয়ে দ্বিগুণ। কারণ মহিলারা এইচআরটি ব্যবহার বন্ধ করার ১০ বা তারও বেশি সময় ধরে এটা কিছু মাত্রায় অব্যাহত থাকে। ব্রিটেনে প্রায় ১০ লাখ, ইউরোপের বাকি অংশে প্রায় ৫০ লাখ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬০ লাখ নারী এইচআরটি ব্যবহার করে থাকেন। মেডিসিনস এ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অথরিটি (এমএইচআরএ) জানায়, যেসব মহিলা এইচআরটি নিচ্ছেন বা কখনও নিয়েছেন, তাদের সতর্ক থাকা উচিত। আর তারা যখন নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে পরবর্তীতে চিকিৎসকের কাছে যাবেন, তখন তারা এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার পরীক্ষা করা উচিত। এমএইচআরএ’র ওষুধ বিভাগের সতর্কতা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উপ-পরিচালক সারাহ ব্রাঞ্চ বলেন, ‘নতুন এই তথ্য সম্পর্কে মহিলাদের সতর্ক হওয়া উচিত, যাতে এইচআরটির অন্যান্য ঝুঁকি ও সুবিধা বিবেচনায় নিতে পারে।’ তিনি বলেন, কোন ওষুধই পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নয়। তাই মহিলারা যাতে ঝুঁকি ও সুবিধা সম্পর্কে জেনেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেটা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
×