ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী তিন নেতা গ্রেফতার ॥ বিক্ষোভ বাতিল

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ৩১ আগস্ট ২০১৯

 হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী তিন নেতা গ্রেফতার ॥ বিক্ষোভ বাতিল

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী তিন বিখ্যাত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেতা জোসুয়া অং ও আগনেস চৌকে। তারা দুজনই ২০১৪ সালের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের নেতা এবং সাবেক ছাত্র নেতা। আর বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় বর্তমানে নিষিদ্ধ স্বাধীনতাপন্থী দলের প্রধান এ্যান্ডি চ্যানকে। এদিকে শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশ শুক্রবার বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আয়োজকরা। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের। অং ও চৌ’র রাজনৈতিক সংগঠন ডেমোসিস্টো জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সাবওয়ে স্টেশনে যাওয়ার সময় অঙ্কে রাস্তা থেকে জোর করে ছোট একটি ভ্যানে তুলে নেয়া হয়। এরপর তাকে ওয়ান চাইয়ের পুলিশ সদর দফতরে নেয়া হয়। আর চৌকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে পুলিশ সদর দফতরে নেয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ২১ জুন পুলিশ সদর দফতরের বাইরে অননুমোদিত একটি বিক্ষোভে যোগ দেয়া এবং অন্যদেরও বিক্ষোভে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগে চৌ ও অঙ্কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছে।’ হংকং ফ্রি প্রেস’র তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতাপন্থী রাজনৈতিক দলের প্রধান চ্যানকে জাপান যাওয়ার প্রাক্কালে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, ২৯ বছর বয়সী চ্যানকে হংকং বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দাঙ্গায় অংশ নেয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার সন্দেহভাজন হিসেবে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। হংকংয়ে সরাসরি নির্বাচনের জন্য বেজিংয়ের প্রস্তাবের পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবারের ডাকা সমাবেশের আগে তাদের গ্রেফতার করা হলো। এই নির্বাচনে শুধু বেজিংয়ের নির্ধারণ করা ব্যক্তিরাই অংশ নিতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই প্রস্তাবে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন অং ও চৌ। এই বিক্ষোভে ৭৯ দিন হংকংয়ের কিছু অংশ অচল হয়ে পড়েছিল। হংকং ব্যাপটিস্ট ইউনিভার্সিটির সরকার বিভাগের অধ্যাপক কেনেথ চ্যান বলেন, ‘আন্দোলন দমনের নতুন পর্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ এটি। তিনি বলেন, ‘অবৈধ সমাবেশের আগে সুপরিচিত নেতাদের গ্রেফতারের উদ্দেশ হচ্ছে অন্যদের ভয় দেখানো।’ শনিবারের বিক্ষোভের আয়োজক সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট (সিএইচআরএফ) শুক্রবার জানায়, পুলিশ অনুমতি না দেয়ায় পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ বাতিল করা হলো। আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষার অজুহাতে পুলিশ শনিবারের বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি। সিএইচআরএফের যুগ্ম আহ্বায়ক বোনি লিউং বলেন, ‘আমার মূলনীতি হচ্ছে বিক্ষোভে অংশ নেয়া সকলকে সুরক্ষা করা এবং বিক্ষোভে যোগ দেয়ার ফলে কাউকে যাতে আইনগত দিক মোকাবেলা করতে না হয় সেটা নিশ্চিত করা। অং ও চৌ ২০১৪ সালের বিক্ষোভের অন্যতম মূখ্য ছাত্রনেতা ছিলেন। ওই বিক্ষোভে ভূমিকা রাখায় তাকে দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হয় এবং গত জুনেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আর বর্তমান বিক্ষোভে কেউই মূল নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন না, নেতৃত্বহীন এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে।
×