স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধীরে ধীরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হলেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে এখনো মিলছে এডিসের লার্ভা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্যা নিরসনে এডিসের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের পরিসর ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পুরো কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে নিতে হবে কার্যকর উদ্যোগ।
দীর্ঘ প্রবাস জীবন পর অস্ট্রিয়া থেকে দেশে বেড়াতে এসেই ডেঙ্গুর কবলে মাকসুদা সরকার। দশ বছরের সন্তান আলী আহমেদ সরকারকে নিয়ে রাজধানীর হলি ফ্যামেলি হাসপাতালে ছয় দিন ধরে লড়ছেন ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে। একই হাসপাতালে ৬ বছরের সন্তান প্রিন্সকে নিয়েও রোগমুক্তির লড়াইয়ে মাদারটেকের বাসিন্দা শরীফ হোসেন। সন্তানের সুস্থতায় দুই অভিভাবকের প্রার্থনা একই হলেও দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য যোজন যোজন।
আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে রাজধানীতে ডেঙ্গুর মূল প্রকোপ জুলাই ও আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রকট হলেও এই জ্বর প্রাণঘাতী রূপ নেয় মার্চেই। দেরিতে হলেও নানা আলোচনা সমালোচনার পরে চিরুনি অভিযানে নামে সিটি করপোরেশন। চলে নানা রকম সচেতনতামূলক কর্মকান্ড ও। তবে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা থেকে এখনো অনেকটাই দূরে এই উদ্যোগ। বরং এখনো চলছে একে অপরকে দোষারোপের সংস্কৃতি। এদিকে এখনো কিছু মানুষকে সচেতন করা যায়নি উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিতে হবে যুগোপযোগী উদ্যোগ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ বেনজির আহমেদ বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক আমাদের যে জ্ঞান আছে, এগুলো টার্গেট করে একসাথে উদ্যোগ নেয়া গেলে এটা সম্পন্ন করা যাবে। ঘাতক ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত বাহান্ন জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।