ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাস্তার মাটি সরে বেরিয়ে এসেছে গ্যাস পাইপ লাইন

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৩০ আগস্ট ২০১৯

রাস্তার মাটি সরে বেরিয়ে এসেছে গ্যাস পাইপ লাইন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শ্রীমঙ্গল ॥ রাস্তার মাটি সরে গিয়ে রাস্তার সমান্তরালে বেরিয়ে পড়েছে গ্যাস পাইপ লাইন। ফলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের টিপরা ছড়ার প্রবেশমুখ থেকে নাহার চা বাগানে যাওয়ার এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চালাচ্ছেন চালকরা। মাটির উপরে আসা এ গ্যাস পাইপ লাইন ফেটে বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউপির এই জায়গায় গিয়ে দেখা যায় টিপরা ছড়ার প্রবেশমুখ থেকে নাহার চা বাগানে যাওয়ার এই রাস্তাটির চার কিলোমিটার জায়গায় রাস্তার নীচ দিয়ে নাহার চা বাগানের চা কারখানার উৎপাদনকার্যের জন্য গ্যাসের পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ রাস্তার বেশীরভাগ অংশে পাহাড়ি মাটি বৃষ্টিতে সরে গিয়ে গ্যাস পাইপলাইন বেড়িয়ে পড়েছে। এ রাস্তায় যানবাহন চালাতে অনেক ক্ষেত্রে চালকরা এই পাইপের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পাইপের কারনে গাড়ি চালাতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে চালকদের। ১ নং নাহার খাসিয়া পুঞ্জির গ্রাম প্রধান (মান্ত্রী) ডিবারমিন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রতিদিন প্রায় ২০টি জীপ গাড়ি চলাচল করে। রাস্তার উপর পাইপ থাকায় চালকরা ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান। এতে অনেক সময় ব্যায় হয়। ঝুঁকিও থাকে। নাহার চা বাগানের ব্যবস্থাপক পিযুষ চক্রবর্তী বলেন, আমি নিজেও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এটি একটু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়ই আছে। আমি চা বাগানের পক্ষ থেকে কয়েকবার পাইপ লাইনের উপর মাটি ভরাট করে রাস্তাকে চলাচল উপযোগী করা ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে গেছে। এখন পাইপগুলো খুলে গভীর গর্ত করে পাইপ লাগাতে হবে। কিন্তু এই কাজ করতে গেলে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখতে হবে। এখন চা বাগানে ভরা মৌসুম চলছে। গ্যাস বন্ধ থাকলে চা পাতাগুলো নষ্ট হবে। আমরা গ্যাস অফিসে আবেদন করে রেখেছি। ডিসেম্বর এর দিকে স্থায়ী কাজ হবে। এখন মাটি ভরাট করে করে গাড়ি চলাচল এর ব্যবস্থা করা হবে। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন লিমিটেড এর শ্রীমঙ্গল আঞ্চলিক শাখার উপব্যাবস্থাপক গৌতম দেব বলেন, আমরা চা বাগান কর্তৃপক্ষ থেকে আবেদন পেয়েছি। আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কাজের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যেহুতু এগুলো শীত মৌসুমে করতে হয় তাই আমরা ডিসেম্বর এর দিকে কাজ শুরু করবো। এখানে গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় আমরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি না। তবে আমরা দ্রুত কাজটি করে ফেলবো।
×