ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পৃথিবীর ফুসফুসে আগুন

প্রকাশিত: ১২:২৬, ৩০ আগস্ট ২০১৯

পৃথিবীর ফুসফুসে আগুন

দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদের পাশে প্রায় ৫৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে উঠেছে সুবিশাল বৃষ্টি-অরণ্য (রেন ফরেস্ট) আমাজন। পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেনের আমদানি হয় এই বৃষ্টি-অরণ্য থেকে। পৃথিবীর সবচেয়ে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই অরণ্যে ২৫ লাখের বেশি পতঙ্গের প্রজাতি, ৪০ হাজারের বেশি গাছের প্রজাতি, দু’হাজার পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রজাতি এবং ২ হাজার ২০০ প্রজাতির মাছের বাস। রয়েছে বিভিন্ন নাম না জানা মানব গোষ্ঠীর বাসস্থান। আগুনে পুড়ে যাচ্ছে তারাও। ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ আজ বিপন্ন। আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ গ্রাস করছে ওই চিরহরিৎ বনভূমিকে। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইনপে’-র সমীক্ষা বলছে এ বছর আমাজন বৃষ্টি-অরণ্যে ৭২,৮৪৩টি দাবানলের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় যা ৮৩% বেশি! এবং ২০১৩-র তুলনায় দ্বিগুণ! ব্রাজিলের ফেডেরাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, শুকনো বাতাসে দাবানল জ্বলে ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এ ক্ষেত্রে দাবানলের প্রকোপে আগুন লাগেনি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ওই বিজ্ঞানীদের মতে, অনেক সময়েই চাষের জন্য জমি বা খামার তৈরি করতে ইচ্ছাকৃতভাবে জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সেখানেও এমনটাই হচ্ছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, গাছ কাটার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমছে। অরণ্য অনেক বেশি শুকনো হয়ে যাচ্ছে। ফলে, দাবানলের সংখ্যা ও প্রাবল্য বাড়ছে। বাড়ছে ভয়াবহতা। বনাঞ্চল ও সেখানকার মাটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। যার ফলে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা কার্বন উপরে উঠে এসে অক্সিজেনে পুড়ে গিয়ে বাতাসে বিষের বোঝা ভারি করে তোলার আশঙ্কাকে জোরালো করে তুলেছে। সূত্র : ন্যাশনাল জিওগ্রাফি
×