ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যায় স্বামীর ফাঁসি

প্রকাশিত: ১১:০০, ৩০ আগস্ট ২০১৯

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যায় স্বামীর ফাঁসি

কোর্ট রিপোর্টার ॥ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শারমীন সুলতানা হিয়াকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মোঃ সাইদুর রহমান ওরফে মিল্টনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ খাদেম উল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন। চৌদ্দ বছর আগের ওই হত্যা মামলার এ রায়ে দ-িতের ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- এবং অর্থদ- আনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন। রায়ে বিচারক বলেছেন, আসামি শুধু চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হিয়াকেই হত্যা করেনি। তার অনাগত সন্তানকেও হত্যা করেছে। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের সাজা প্রদান করাই উপযুক্ত। রায় ঘোষণার সময় দ-িত মিল্টন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) উক্ত রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০০৪ সালে হিয়ার সঙ্গে মিল্টনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। হিয়ার সুখের কথা চিন্তা করে তার পরিবার দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়। এরপরও সে আরও যৌতুক দাবি করে। হিয়াকে বিয়ের সময় দেয়া ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারও বিক্রি করে আসামি। পরবর্তীতে আরও যৌতুকের টাকা এনে না দেয়ায় ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে মিল্টন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হিয়াকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর সে হিয়ার মরদেহের পাশে একটি চিরকুটে লেখেন, ‘আমি আমার প্রভুর নির্দেশে স্ত্রীকে খুন করলাম।’ পরে আসামি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর থেকেই সে কারাগারে। হত্যার দিনই হিয়ার চাচা শাহাদাত হোসেন সরকার মুকুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পর আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। মামলাটি তদন্ত করে বাড্ডা থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। পরের বছর ১ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
×