ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থমন্ত্রীর আশা

ইফাদের কার্যক্রম এ দেশে আরও প্রসারিত হবে

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৩০ আগস্ট ২০১৯

ইফাদের কার্যক্রম এ দেশে আরও প্রসারিত হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা-ইফাদের কার্যক্রম বাংলাদেশে আরও প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা ইফাদ কার্যকর সহায়তা করছে। বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভলপমেন্ট- (আইএফএডি) ইফাদ সহজ শর্তে ঋণ ও অনুদান দিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার, বিকেলে শেরে বাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন ইফাদের বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওমর জাফর। ওই সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষি উন্নয়নে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে অত্যন্ত সহজ শর্তে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঋণ ও অনুদান প্রদান করছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বেশ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, ইফাদ বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘ ও মধ্য মেয়াদের বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে। আর্থ-সামজিক উন্নয়নসহ পল্লী উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদিকে, ওমর জাফর বাংলাদেশে ইফাদের স্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ওই সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এটি একটি খুবই ভাল পদক্ষেপ। স্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে ইফাদের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে এবং নতুন মাত্রা পাবে। কাজের পরিসর বাড়বে। চলতি অর্থবছরেই আমরা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১০ শতাংশ এবং সেটা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের রফতানি আয় খুব দ্রুত বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশের মানুষের ঋণ জিডিপি অনুপাতে যেকোন দেশের তুলানায় কম। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ একটি প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ইতোমধ্যে ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশের স্থিতি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সম্বলিত এসডিজি মূলধারার দিকে অগ্রসর হয়েছে। বাংলাদেশে ফল ও সবজি যেমন- আম, আলু, আখ ইত্যাদি প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে ইফাদের জন্য বড় সম্ভাবনা রয়েছে। ইফাদের বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওমর জাফর বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে আইএফএডি’র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী আইএফএডি’র তৃতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগ। সারা বিশ্বব্যাপী ইফাদের ২৫০টি প্রকল্পের শীর্ষ ১০টির মধ্যে বাংলাদেশের ৩টি প্রকল্প রয়েছে। শুধু তাই নয় প্রথম স্থানটিও বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত উপকূলীয় জলবায়ু স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো প্রকল্প। বর্তমানে বাংলাদেশে সাতটি চলমান প্রকল্প রয়েছে যা পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করবে। আরও দুটি প্রকল্প নক্সা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ওমর জাফর এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবগত করেন।
×