ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ৩০ আগস্ট ২০১৯

উবাচ

চির কৃতজ্ঞ থাকব স্টাফ রিপোর্টার ॥ রুমিন ফারহানা কে? উত্তরগুলো এমন হতে পারে একজন আইনজীবী, টকশো শিল্পী, অলি আহাদের কন্যা, বিএনপি কোটায় নারী সংসদ সদস্য। আর কি কিছু বলা যায়। অনেকেই বলবেন, অত্যন্ত উচ্চকণ্ঠ স্মার্ট মহিলা। ইদানীং আবার কেউ কেউ বলছেন, প্লট পেলে সরকারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন যিনি তিনিই রুমিন ফারহানা। ভোটের পর নির্বাচন অবৈধ। সরকার গঠনের পর সংসদ অবৈধ, সরকার অবৈধ বলতে বলতে তিনিই সংসদ সদস্য। এরপর তার যুক্তি ছিল তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতে সংসদে গেছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতে তো কোর্টে যেতে হবে, সংসদে কেন এই প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। তাহলে কি রুমিন ফারহানা খালেদা জিয়ার জন্য নতুন কোন আইন প্রণয়ন করতে সংসদে গেছেন। যাতে খালেদা জিয়া খালাস পেয়ে যাবেন। সে সব তো গেছে চলে সেই কবের কথা। এবার বোঝা গেল কেন রুমিন সংসদে গেছেন। তিনি নাকি নিজের সম্পত্তির তথ্য গোপন করে ১০ কাঠার এক প্লটের আবেদন করেছেন। তিনি যাদের অবৈধ বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছেন তাদের কাছেই মিনতি করেছেন প্লট পাইলে চির কৃতজ্ঞ থাকব। যদিও সমালোচনার মুখে সেই আবেদন তিনি প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু আবেদন প্রত্যাহার করলেই কি আর সব চুকে যায়। দাগতো লেগেই গেল। সমালোচনা কইরেন না! স্টাফ রিপোর্টার ॥ রুমিন ফারহানার প্লট চাওয়ার আবেদনপত্র ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হইলে কেমন গা জ্বলে সেটা এই মুহূর্তে রুমিনের চেয়ে ভাল আর কেউ জানেন না। শুধু রুমিনই নয় রুমিনের সহকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে বিব্রত। প্রশ্ন উঠেছে করলেন কি রুমিন? তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, রুমিন হয়তো সহজ জিনিসটা বুঝতে পারেননি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এত সহজ বিষয় না বুঝলে রাজনীতির মতো কঠিন বিষয় কি করে বুঝবেন। বাক্য বিলাসীদের সকলে বাচাল বলে। অতি কথকদের ক্ষেত্রে ধরে নেয়া হয় ঘটে বুদ্ধির অভাব রয়েছে। কিন্তু এখন এই অতিকথকরা কি রুমিনকে দেখে উৎসাহী হন। ভাবেন রুমিনের মতো তাদেরও সামনে সুযোগ আছে। মির্জা ফখরুলের কথায় রুমিনদের চিন্তা আরও দূর হয়েছে। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুল তার দলের সমালোচকদের উদ্দেশে বলেছেন, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে পাগলের মতো ওই ফেসবুকে দেয়ার কোন যুক্তি নেই। কেউ একটা ছোট ভুল করে ফেলল তাকে এখনই কবর দিয়ে দিতে হবে না। দেখতে হবে সে এখন কী কাজ করছে। সে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য কাজ করছে- এটা হচ্ছে মূল কথা। সঙ্গত কারণে রুমিনের বিরুদ্ধে ড্রাম বাজিয়ে সমালোচনা না করতে সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অবশ্য মির্জা ফখরুলের এই অনুরোধের পর কেউ বলেননি বাহ রুমিন বাহ। তারেককে নেতা বানানোর রাজনীতি করি না স্টাফ রিপের্টার ॥ শেখ হাসিনাকে সরিয়ে আমি কখনো তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য রাজনীতি করি না এবং জীবনেও করব না। বক্তব্যটি কাদের সিদ্দিকীর। নির্বাচনের আগে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে তারেক রহমান কি নেতা হতেন না? খালেদা জিয়াকে জাতির অন্যতম একজন নেতা বললেও তারেক নেতা নন বলে মনে করেন তিনি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনমতে আমরা বিএনপির নেতৃত্বে করি নাই। ঐক্যফ্রন্ট করেছিলাম ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে। কিন্তু মনোনয়ন দেয়ার সময় থেকে নেতৃত্ব বিএনপির হাতে চলে গেছে। তিনি আরও বলেন, গত নির্বাচনের সময় সবকিছুতে তারেক রহমানের হাতে নেতৃত্ব চলে গিয়েছিল। যে কারণে তিনি নিজেকে ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
×