ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত

কঠিন সমীকরণের ম্যাচ আজ বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ২৯ আগস্ট ২০১৯

কঠিন সমীকরণের ম্যাচ আজ বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এই ম্যাচটা তারা খেলতে পারতো এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে ওঠার আনন্দ নিয়ে। কিন্তু নেপালের কাছে আগের ম্যাচে হেরে সেই সম্ভাবনা এখন সুদূর পরাহত হয়ে গেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৫ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য। কেননা সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে আজ বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিপক্ষ যে নেপালের চেয়েও শক্তিধর। প্রতিপক্ষের নাম ভারত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার কল্যাণী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেও গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে হেরে যাওয়াতে আজকের এই ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁচা-মরার ম্যাচ। মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেপালের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। এই হারে ফাইনালে ওঠাটা অনেক কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশের। কেননা তাদের পরের ম্যাচ এরচেয়েও শক্তিধর প্রতিপক্ষ ভারতের সঙ্গে। একইদিন দুর্বল ভুটানের সঙ্গে খেলবে নেপাল। ভারত ৩ খেলার প্রতিটিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা। ৩ ম্যাচের ২টিতে জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট বাংলাদেশ ও নেপালের। তবে গোলগড়ে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ আছে দুইয়ে ও নেপাল আছে তিনে (বাংলাদেশের গোলগড় +৬, নেপালের ০)। এক্ষেত্রে নেপালের চেয়ে একটু সুবিধাজনক স্থানে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু ঝামেলা বেধেছে বাংলাদেশের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচটি। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। তাদের হারানোটা খুবই কঠিন ব্যাপার লাল-সবুজ কিশোর ফুটবলারদের। অথচ এইদিক দিয়ে আবার সুবিধাজনক অবস্থানে আছে নেপাল। কেননা তাদের প্রতিপক্ষ ভুটান একেবারেই দুর্বল প্রতিপক্ষ, যারা ৩ ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরে ইতোমধ্যেই বিদায় নিয়েছে আসর থেকে। ২৯ আগস্ট ভারত-বাংলাদেশ খেলার আগে অনুষ্ঠিত হবে ভুটান-নেপাল ম্যাচটি। ভুটান যদি নেপালকে হারিয়ে দেয় আর বাংলাদেশ ড্র করে ভারতের সঙ্গে তাহলে কপাল খুলবে বাংলাদেশের। অথবা নেপাল ও বাংলাদেশ যদি তাদের নিজ ম্যাচে হেরেও যায়, সেক্ষেত্রে পয়েন্ট সমান হলেও গোলগড়ে এগিয়ে থেকে ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের। তবে বাস্তব প্রেক্ষাপটে এই সমীকরণ ফলবে এমন সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কাজেই বাংলাদেশের বিদায়ের আশঙ্কাই প্রবল। বাংলাদেশ দলের হেড কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটা ডু অর ডাই ম্যাচ। ফাইনালে খেলতে হলে আমাদের অবশ্যই ম্যাচটা জিততে হবে। সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা করছি।’ ভারতের বিপক্ষে একাদশে কোন পরিবর্তন আনবেন কিনা জানতে চাইলে কোচ বলেছেন, ‘পরিকল্পনা সম্পর্কে এখন কিছু জানাতে চাচ্ছি না। দলের একজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে তাকে মাঠে নামাবো না। পরিবর্তনটা কি হবে সেটা মাঠে দেখতে পাবেন।’ শক্তিমত্তায় ভারত এগিয়ে। অথচ হেড টু হেড মোকাবেলায় কিন্তু বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে। ৪ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। বাংলাদেশ জিতেছে ৩ ম্যাচে, ভারতের জয় ১টিতে। ২০১৩ সালে গ্রুপে ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ আসরে গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ ২-১ গোলে জেতে। ফাইনালে ১-১ গোলের ড্র’র পর পেনাল্টি শূটআউটে ৪-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় লাল-সবুজরা। ২০১৮ আসরে সেমিফাইনালে ১-১ গোলের ড্র’র পর পেনাল্টি শূটআউটে ৪-২ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। আজ কি ভারতের হার এবং নেপালের জয়হীনতা ... এই দুটি অসম্ভব ঘটনা ঘটে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলতে পারবে?
×