ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ২৯ আগস্ট ২০১৯

প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া শেখ কামাল আন্তর্জাািতক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সাংগঠনিক কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শামসুল হক চৌধুরী, এমপি। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয়কারী স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, স্পন্সর তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের স্মৃতি নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য ‘শেখ কামাল আন্তর্জাািতক ক্লাব কাপ’ ফুটবলের সাংগঠনিক কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি প্রাপ্তিতে আমরা কৃতজ্ঞ ও অনুপ্রাণিত। কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী তাদের দিক-নির্দেশনায় আমরা সুন্দর ও সফল একটি টুর্নামেন্ট অয়োজনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তরফদার মোঃ রুহুল আমিন আরও জানান, এখন সবকিছুই চূড়ান্ত বলা যায়। পাঁচ বিদেশী ও স্থানীয় তিন, মোট আটটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্ট। তিনি আশাবাদী বিগত সময়ের তুলনায় এবারের আসর আরও অনেক জৌলুস ছড়াবে। আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। টুর্নামেন্টের ভেন্যু এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ব্যাপক সংস্কার করা হবে বলে জানান তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। আমরা স্টেডিয়ামের গ্যালারি, মাঠ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর মধ্যে বিশেষ করে ফ্লাড লাইট সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি, আমরা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সাঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনে কোন ঘাটতি রাখব না। ইতোমধ্যে কলকাতার ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও কলকাতা মোহামেডান, মালদ্বীপের টি সি স্পোর্টস ক্লাব, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিঃ ঢাকা ও আয়োজক চট্টগ্র্রাম আবাহনীর খেলা নিশ্চিত, নেপালের থ্রি স্টার ও থাইল্যান্ডের একটি ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা চলছে। । টুর্নামেন্টের বাজেট দশ কোটি টাকা। চ্যাম্পিয়নদের প্রাইজমানি পঞ্চাশ হাজার ডলার, রানার্সআপ দল পাবে পঁচিশ হাজার ডলার। প্রতিটি দল এ্যাপিয়ারেন্স মানি হিসে্েব পাবে দশ হাজার ডলার করে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংগঠনিক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, অংশগ্রহণকারী তিন ভারতীয় দল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও কলকাতা মোহামেডান, এই তিন ক্লাবের প্রায় ২০ কোটি সমর্থক রয়েছে বলে দাবি করে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। সবমিলিয়ে এবারের আয়োজনটাই হতে যাচ্ছে বেশ জমজমাট। বাংলাদেশ ও ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের দৃষ্টি থাকবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের ওপর। ভারতের তিন ক্লাব তাদের সেরা দলটাই পাঠাবে বলে জনকণ্ঠকে জানান টুর্নামেন্টের স্পন্সর সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। ভারতে গিয়ে তিন ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় মূল দল পাঠানোর অনুরোধ করেছি। আশাকরি খেলামেলা এই আলোচনায় যে আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছেন সেটা রক্ষা করবেন। রুহুল আমিন যোগ করেন, লক্ষ্য ছিল দুই ক্লাব, ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। আর এ লক্ষ্যেই কলকাতা সফরে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে চিন্তা করলাম আরও একটা দল যদি পাওয়া যায় মন্দ হবে না। সেই চিন্তাধারা থেকে কলকাতা মোহামেডান কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করি। সফলও হয়ে যাই। আমাদের আমন্ত্রণে তারা খেলতে রাজি হয়ে যায়। সঙ্গত কারণে বলা যায় এবারের আসরের গায়ে একটা তকমা লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে, বাংলাদেশ-ভারত ক্লাব ফুটবল লড়াই। যদিও আরও দু’টি বিদেশী দল থাকছে। তারপরও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ নিয়ে দুই বাংলাই যে মেতে থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ওপার বাংলার তিন দলের পাশাপাশি আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে টুর্নামেন্টে মধুর স্মৃতি রয়েছে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ও ইস্টবেঙ্গলের। ২০১৭ সালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টিসি স্পোর্টস। আর ২০১৫ সালের প্রথম আসরটা আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী স্মরণীয় করে রেখেছে শিরোপা জিতে। ওই আসরে ভারতের ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
×