ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিডির পর রাস্তায় নামেননি বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ২৯ আগস্ট ২০১৯

জিডির পর রাস্তায় নামেননি বিনিয়োগকারীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের বিরুদ্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর বুধবার বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেননি। এই বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী জানান, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আমরা আসলে হতবাক। কেন ডিএসই থেকে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো বুঝে উঠতে পারছি না। বিনিয়োগকারীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে বাধা দেয়ার পেছনে ডিএসইর কি স্বার্থ থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখা দরকার। এ সময় সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, একটি স্বাধীন দেশে বাস করে বিনিয়োগকারীরা নিজেদের সর্বস্ব লুট হয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে কিছুসংখ্যক দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারবে না? এই আন্দোলন আমাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন, শেয়ারবাজার ঠিক করার আন্দোলন। জিডি করার কারণে আপাতত কিছুদিন আন্দোলন বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে মিজানুর রশীদ বলেন, আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা একসঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করব। একটা সমাধান বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করব এবং শীঘ্রই শেয়ারবাজারকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার রাজপথে নামব। আমাদের ভয় দেখিয়ে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যেসব কোম্পানি ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করে আসছে সেসব কোম্পানির লিস্ট বের করে আমরা খুব তাড়াতাড়িই দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা করব। এই টাইপের কোম্পানিগুলোকে কেন তালিকাভুক্ত রাখা হয় তার জবাবদিহিতা ডিএসইকে করতে হবে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের বিরুদ্ধে জিডি করেছে ডিএসই। ডিএসইর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মামুন উর রশিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই জিডি করা হয়েছে। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ আগস্ট আনুমানিক ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের ব্যানারে ৯-১০ জন লোক ডিএসইর সামনে মাইকসহ বিক্ষোভ করে। যাতে ডিএসইর সদস্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াত ও অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটে। এরা বেশ কিছুদিন ধরে এ বিক্ষোভ করে আসছে। এছাড়া শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর মন্তব্য করেছে। জিডিতে আরও বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের এ ধরনের কার্যকলাপ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ পুঁজিবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। ফলে বিদেশীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। ডিএসই একটি প্রাচীন ও বহৎ পুঁজিবাজার। এটি জাতীয় এবং জনস্বার্থমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম করতে ডিএসইর সামনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে।
×