ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অপরাধের স্বর্গরাজ্য;###;আমিনূর রশীদ বাবর

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ বস্তির জীবন

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৯ আগস্ট ২০১৯

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ বস্তির জীবন

বাঙালী সমাজে উচ্চবিত্ত, নিম্ন বিত্ত, উচ্চ নিম্ন বিত্ত, ভূমিহীন, গৃহহীন ইত্যাদি বারো রকমের বৈষম্য বিদ্যমান। এত শ্রেণী বৈষম্যের কারণে বস্তি উন্নয়ন খুবই জটিল ব্যাপার। আর যদি বস্তি উন্নয়নে সমাজের ভূমিকার কথা বলেন তা হলে একটি জিনিষ বুঝতে হবে, এ সমাজের প্রতি ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা রাজনীতির বাইরে নেই। মোদ্দা কথা রাজনীতি হচ্ছে সকল কিছুর নিয়ামক। অতএব বুঝতে হবে সেই রাজনীতি কি বস্তি উন্নয়ন চায়? নাকি বস্তি যে ভাবে আছে সে ভাবে রাখতে চায়। আর সমাজের যে কথা বলছেন সে সমাজতো আর আলাদা কোন সত্তা নয়। সমাজ পরিচালনার জন্য জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচন করে থাকে। সেই প্রতিনিধি কি বস্তি উন্নয়ন চায়? আসলে সমাজপতি যারা তারা কিন্তু মনেপ্রাণে বস্তির উন্নয়ন চায় কিনা প্রশ্নসাপেক্ষ। কারণ বস্তিবাসী মানুষ তাদের বিভিন্ন কাজে লাগে। বর্তমানে বস্তি হচ্ছে সমাজপতি ও জনপ্রতিনিধিদের একটি ব্যবসা কেন্দ্র। এসব সমাজপতি ও জনপ্রতিনিধিরা বস্তিকে পুঁজি করে বহু ধরনের আয় রোজগার করে থাকে। এদেশের বস্তি হচ্ছে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। এসব বস্তিতে হন কোন কুকর্ম নেই যে তারা করে না। এক কথায় সব ধরনের কুকর্ম করে থাকে। যেমন- এই মৌলবীবাজারে বস্তির অভাব নেই। ছোট-বড় অনেক বস্তি আছে। এখানে সর্ব বৃহৎ ফরেস্ট রোড নামক যে বস্তি আছে এই বস্তিতে দিবারাত্রি কুকর্ম সংগঠিত হচ্ছে। এখানে মাদক ব্যবসা, নারী ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকা- সংঘটিত হচ্ছে। আর এসব কুকর্মের নাটের গুরু হচ্ছে প্রভাবশালীরা। জানা যায় যে, প্রতিদিন এই বস্তি থেকে এরা বড় অঙ্কের একটা অর্থ পেয়ে থাকে। তা ছাড়া এসব বস্তি সমাজপতি ও জনপ্রতিনিধিদের খেদমতে সেবাদাসী সরবরাহ করে থাকে। বিশেষ করে দেখা গেছে প্রবাসীরা এখানে আসলে তাদেও খেদমতে বস্তি থেকে কাজের মহিলা দেয়া হয়। এ বাস্তবতায় সমাজপতি ও জনপ্রতিনিধিরা বস্তির আদৌ কোন উন্নয়ন চায় কি না তা বোঝার বিষয়। তারা চায় বস্তি যে ভাবে আছে সে ভাবেই থাকুক। এ অবস্থায় আদৌ যদি বস্তির উন্নয়ন করতে হয় তা হলে প্রতিটি বস্তিতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বস্তির ছেলেমেয়েদের শিক্ষার কোন সুযোগ নেই। এরা অশিক্ষা কুশিক্ষায় বেড়ে উঠছে। অপর দিকে এসব বস্তিতে ছোট মাদ্রাসা ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বস্তির ছেলেমেয়েদের কি সব শিক্ষা দেয় তা বোঝার কোন সুযোগ নেই। এসব দিক বিবেচনা করে বস্তির উন্নয়ন করতে হলে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বস্তি উন্নয়ন নামে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই বস্তি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োজিত থাকবে তারা সকল বস্তিতেউন্নয়নের পরামর্শ দেবে। গির্জাপাড়া, মৌলবীবাজার থেকে
×