ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার ॥ স্বামী পলাতক

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৮ আগস্ট ২০১৯

শেরপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার ॥ স্বামী পলাতক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে কনিকা আক্তার (২৪) নামে এক সন্তানের জননী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ কনিকা স্থানীয় আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন মিয়ার স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী জামালপুরের বকশীগঞ্জ শহরের পশ্চিমপাড়া এলাকার দুদু মিয়ার মেয়ে। এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন মিয়া পলাতক রয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে গৃহবধূর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। অন্যদিকে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে স্বামীর বসতঘরের ধর্নায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ কনিকার লাশ দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। পরে খবর পেয়ে প্রায় মধ্যরাতে পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। এরপর র‍্যাব-১৪’র একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গৃহবধূর শ্বাশুড়ির দাবি, কনিকা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে গৃহবধূর বাবা দুদু মিয়া ও মা সাকিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে মেয়েকে সুমন মিয়ার সাথে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই সুমন কনিকাকে নানাভাবে নির‍্যাতন করতো। তাদের ধারণা, কনিকাকে নির‍্যাতনে হত্যার পর তার লাশ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে। সদর থানার এসআই রুবেল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়ে বলেন, লাশটি বসতঘরের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি বলছেন, ঘটনা টের পেয়ে দ্রুত ফাঁসি থেকে নামিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। লাশের গলা ছাড়া শরীরের কোথাও জখম নেই। তবে খবর পেয়ে গৃহবধূর বাবা-মা এসে কনিকাকে নির‍্যাতনের অভিযোগ করছেন। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এখনই বলা যাচ্ছে না। ওই রিপোর্ট মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
×