ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে পেস বোলাররা সুবিধা পাবেন!

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২৮ আগস্ট ২০১৯

চট্টগ্রামে পেস বোলাররা সুবিধা পাবেন!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম স্পিনারদের জন্য বধ্যভূমি। তা সবাই জানে। স্পিনাররাই এ স্টেডিয়ামের উইকেটে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন। পেসাররা সেখানে পাত্তাই পাননি। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে, এ স্টেডিয়ামে ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্টে পেস বোলাররা সুবিধা পাবেন! তা কী সম্ভব? ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের কথাতে তো তাই বোঝা যাচ্ছে। সম্ভব। তিনি সম্প্রতি টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নতুন প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশারকে নিয়ে বসেছিলেন। সামনেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট রয়েছে। এরপর আছে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ। এ ম্যাচগুলোর জন্য কী পরিকল্পনা করা যেতে পারে, তাই নিয়ে অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচকদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন আকরাম। আলোচনা শেষে আকরাম জানান, ‘যে ধরনের উইকেট থাকে সেটা তো জানেনই। আমরা স্বাগতিক, দেশের মাঠের সুবিধা বেশি থাকবেই। উইকেটে তেমন পরিবর্তন আসবে না। চেষ্টা করছি ট্রু উইকেট করতে, যেন ঘাস থাকে। সেখানে যেন ফাস্ট বোলাররা সুবিধা পায়।’ ঘাস থাকলে ফাস্ট বোলাররা সুবিধা পাবেই। এমন উইকেট এবার করার চিন্তাই করছে বিসিবি। বাংলাদেশ দলের পেসাররা বিশ্বকাপ থেকেই নখদন্তহীন হয়ে পড়েছেন। পেসাররা যেন নীরব হয়ে পড়েছেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের যে ভোগাবেন, সেই রকম না বিশ্বকাপে, না শ্রীলঙ্কা সফরেও দেখা গেছে। উইকেট পান ঠিকই। কিন্তু সেটি শেষ মুহূর্তে। যখন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা মারমুখী হয়ে খেলতে যান। তখনই টপাটপ উইকেট মিলে। কিন্তু এর আগে ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তিতে ফেলা কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থায় পেস উইকেট হওয়া মানে আফগানদেরও সুবিধা হওয়া। আফগান দলেও যে শাপুর জাদরান, টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ইবরাহিম জাদরান, ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের মতো পেসাররা আছেন। আবার স্পিন উইকেটে এক রশীদ খানকে নিয়েই তো ভয় থাকছে। টেস্টে যেহেতু নতুন একেবারে আফগানিস্তান, মাত্র ২ টেস্ট খেলেছে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম খেলবে; তাই ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ এগিয়েই থাকছে। তাতে করে ট্রু উইকেটের যে কথা উঠছে তা হলেই আফগানদের মনে হচ্ছে সহজেই বধ করা যাবে। পেস উইকেট কিংবা স্পিন উইকেট যেটিই হোক, সেটিতে যে খুব পার্থক্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে আলোচনায় যেহেতু পেসারদের সুবিধার বিষয়টি উঠছে তা নিশ্চয়ই কোন পরিকল্পনার অংশ। আলোচনায় উইকেট, কন্ডিশন নিয়ে তো হয়েছেই। সঙ্গে নতুন কোচিং স্টাফের সঙ্গে বসাও হয়ে গেল। আকরাম যেমন বললেন, ‘বিশ্বকাপের পর আমাদের কোচিং স্টাফে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচক আমরা সবাই আলাপ-আলোচনা করেছি। পরের মাসের সিরিজ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সিরিজে দলের শক্তি ও কন্ডিশন কেমন থাকবে এসব নিয়ে ভাল আলোচনা হয়েছে। আশাকরি এটা সামনেও চলবে। কোন্ কাজইকভাবে করব সেটি আগে থেকেই পরিষ্কার করে ফেললাম।’ কোচ ডোমিঙ্গো আলোচনায় যে বিদেশে ভাল করার দিকে জোর দিয়েছেন। সেটিও বলেছেন আকরাম, ‘সে (ডোমিঙ্গো) কিন্তু হোমের সঙ্গে এ্যাওয়ের কথা চিন্তা করছে। কোন ব্যাটসম্যান হোমে ভাল, বাইরে আরও ভাল হতে পারে সেটি নিয়ে ভাবছে। এটা ভাল লেগেছে। নির্বাচকদের পরিকল্পনা শুনেছে। তারাও ওকে কি কি বুঝিয়ে দেবে সেটি জানিয়েছে। দেশে খেললে কিছু বিষয়ের গুরুত্ব ওভাবে উপলব্ধি করতে পারি না। তবে বাইরে গেলে বুঝতে পারি এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। যে পরিকল্পনাটা করেছি, দেশে-বিদেশে আমাদের খেলার মান যেন একই থাকে। দেশে যেভাবে খেলি বাইরেও যেন সমান ভাল খেলতে পারি।’
×