ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুখময় মজুমদারের ক্যানভাসে মানুষের মুখচ্ছবি

প্রকাশিত: ১১:১৭, ২৮ আগস্ট ২০১৯

সুখময় মজুমদারের ক্যানভাসে মানুষের মুখচ্ছবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্যানভাসজুড়ে শুধুই মানুষের মুখচ্ছবি। রং-তুলির পরিশীলিত আঁচড়ে কোন চিত্রপটে ঠাঁই পেয়েছে একটি মুখ। আবার কোন ক্যানভাসে দুই বা ততোধিক মানুষের প্রতিকৃতি। পৃথক রঙের জমিনে আঁকা ছবিগুলোয় প্রতিটি মুখাবয়বে উদ্ভাসিত হয়েছে ভিন্ন অভিন্ন অভিব্যক্তি। মানবিক মুখচ্ছবিময় ছবিগুলো এঁকেছেন ভারতীয় চিত্রশিল্পী সুখময় মজুমদার। সেসব ছবি নিয়ে মালিবাগের নিউ সার্কুলার রোডের কসমস সেন্টারের কসমস আতেলিয়ার নামের গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে শিল্পী সুখময় মজুমদারের ২১টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। মানুষকে কেন্দ্র করে আঁকা প্রতিকৃতি, তাদের মুখাবয়ব ও অভিব্যক্তি, সেই সঙ্গে প্রকৃতি-অনুপ্রাণিত বিমূর্ত ভাব তার চিত্রকর্মকে এনে দিয়েছে স্বতন্ত্র শৈলী। ভারত ও বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াজুড়ে বহু প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে এই স্বশিক্ষিত শিল্পীর। সোমবার কসমস আতেলিয়ারে ১০ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী হামিদুজ্জামান খান, শিল্পী নিসার হোসেন, কনক চাঁপা চাকমা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস গ্যালারি সহকারী নির্বাহী পরিচালক রামিসা মেলক্স। সুখময় মজুমদার একজন কলকাতার সমকালীন চিত্রশিল্পী। সুখময়ের বাবা ও মা উভয়ের আদিনিবাস বাংলাদেশে। ১৯৮৭ সালে মুম্বাইয়ে তার প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান প্রদর্শনীটি ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। মঞ্চস্থ দ্যাশবাঙলা থিয়েটারের নাটক কালিন্দী ॥ নাট্যকার সেলিম আল দীনের ‘যৈবতী কন্যার মন’ কথানাট্যের দুই অংশ ‘কালিন্দী’ ও ‘পরী’। সেই ‘কালিন্দী’ অংশকে ১২তম প্রযোজনা হিসেবে মঞ্চে এনেছে ‘দ্যাশবাঙলা থিয়েটার’। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির মঞ্চায়ন হয়। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রশিদুল ইসলাম রাজা। প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে নির্দেশক রশিদুল ইসলাম রাজা বলেন, অষ্টাদশ শতকে গীতিকা পালার সঙ্গে ধর্মকাব্যের দ্বান্দ্বিক ছবি কালিন্দী আখ্যান। একালে বাঙালী সংস্কৃতির সঙ্গে উগ্র ধর্মবাদীদের প্রকট দ্বন্দ্ব কালিন্দীর প্রাসঙ্গিকতা বাড়িয়ে দেয়। শিল্পের পথযাত্রায় ধর্মান্ধতার সেই বিরোধকেই মেলে ধরা হয়েছে মঞ্চে। নাটকের কাহিনীতে ধর্মতান্ত্রিক পরিবারের কন্যা কালিন্দীর দেখা মেলে। কালিন্দীর বাবা ভাসান গায়ক। তার জীবনের চারপাশ যেন মনসার সাপের ফনায় ঘেরা। কিন্তু তার ধমনীতে প্রবাহিত শিল্প-প্রেমের স্রোত তাকে জীবনের দিকে টানতে থাকে। সে বেরিয়ে এসেছিল ধর্মের খোলস ভেঙ্গে প্রাণ ও প্রণয়ের টানে। সেই শিল্প-যাত্রায় সহযাত্রী হয়েছিল মানুষের সুখ-দুঃখের ভজন গায়ক আলাল গায়েন। যে গায়েন তার শিল্প-সৃজনে অনুপ্রেরণা মেনেছিল কালিন্দীর দু’টি চরণ। কালিন্দী যাচনা করেছিল প্রেম। কিন্তু গায়েন মাঝপথে উল্টো যাত্রা করে পীরের মুরিদ হয়। পরকাল ও কবরের অন্ধকারে জীবনের অধিক সুখ খোঁজে। তার সুর ও পয়ারে মুখরিত আসরের আলো ক্রমশ নিভে যায়। ভেঙ্গে যায় শিল্প-সংসার। ক্ষত-বিক্ষত হয় কালিন্দীর জীবন। পীর পূজার নিরন্তর সঙ্গীতে বদলে যাওয়া ভুবনে আত্মবিসর্জন দেয় কালিন্দী। পদাবলীর ধারায় নির্মিত কালিন্দী নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন গোধূলি মাহজেবিন, মাধবীলতা, সোহাগ ধর, মানিক সরকার, সোহানুর রহমান, আননুর রাশাদ, রাহাতুল হাবীব, শাহরিয়া খান ইমন ও উৎসব বৈরাগী।
×