ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্ত জুড়ে রেড এ্যালার্ট

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২৮ আগস্ট ২০১৯

চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্ত জুড়ে রেড এ্যালার্ট

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে আড়তদারদের সমঝোতা না হওয়ায় রাজশাহী অঞ্চলের চামড়ার বাজারগুলোতে এখনও শুরু হয়নি কাক্সিক্ষত কেনাবেচা। এ অবস্থায় কোরবানির চামড়া ভারতে পাচারের আশঙ্কায় উত্তরাঞ্চলের গোটা সীমান্তে রেডএ্যালার্ট জারি করেছে বিজিবি। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কোনভাবেই ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে- এজন্য সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে এই সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে। কোরবানির সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনে বিক্রি করেন ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে। কিন্তু চামড়া বিক্রির টাকা পাননি কয়েক বছর ধরে। ফলে এবার চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের কয়েক দফা বৈঠকের পরও পাওনা পরিশোধ করছেন না ট্যানারি মালিকরা। ফলে রাজশাহী অঞ্চলে চামড়ার সবচেয়ে বড় মোকামগুলোতে এখনও শুরু হয়নি কাক্সিক্ষত বেচাকেনা । নাটোর চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান আক্কু বলেন, ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তা আড়তদাররা এখনও পাননি। অনেকেই হাটে চামড়া নিয়ে এসেছেন। বেচাকেনা কেবল শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও বাজার জমে ওঠেনি। রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ জানান, রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা অন্তত ২০ কোটি টাকা পাবেন ট্যানারি মালিকদের কাছে। বার বার তারা বলছেন টাকা দিয়ে দেবেন। তবে দিচ্ছেন না। ফলে এবারও ঈদে বাড়তি পুঁজি দিয়ে চামড়া কিনতে হয়েছে। নাটোর হাটে অনেক ব্যবসায়ীই চামড়া নিয়ে গেছেন। কিন্তু নগদ টাকা ছাড়া চামড়া বিক্রি করতে চাই না আমরা। এদিকে, চামড়া ভারতে পাচারের আশঙ্কায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের ৪০৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করেছে বিজিবি। সদর দফতর থেকে পাঠানো হয়েছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা। রাজশাহী বিজিবি’র ১ ব্যাটেলিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, কোনভাবেই যাতে চামড়া ওপারে যেতে না পারে এজন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে সদর দফতর। মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীপথে স্পীডবোর্ডে টহল জোরদার করা হয়েছে। বিওপিগুলোতে সতর্কাবস্থায় বিজিবি সদস্যদের রাখা হয়েছে। এছাড়াও, সীমান্তের আট কিলোমিটারের মধ্যে চামড়া মজুদ পেলেই বিজিবি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এদিকে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ফেনসিডিলের প্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদকসহ সব ধরনের পণ্য চোরাচালান রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি কড়া নজরদারি শুরু করেছে। বিজিবি সদস্যরা দিনরাত কাজ করে চলেছে। ফলে বেড়েছে নিয়মিত টহলও। বিজিবি’র ১ ব্যাটেলিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য জানান।
×