ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গারা এতবড় সমাবেশ করলো সরকার জানতেই পারলো না! ॥ ফারুক

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৭ আগস্ট ২০১৯

রোহিঙ্গারা এতবড় সমাবেশ করলো সরকার জানতেই পারলো না! ॥ ফারুক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের পায়ের তলায় মাটি না থাকায় বিপাকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যর্থ মন্তব্য করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এতবড় একটি সমাবেশ করলো আর সরকার জানতেই পারলো না! মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘দেশ বাচাও মানুষ বাচাও’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের গোয়েন্দারা বিএনপি নেতাদের নিয়ে ব্যস্ত এমন অভিযোগ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গোয়েন্দারা দিনরাত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পাহারা দেয়। এ ছাড়া তারা ব্যস্ত রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেবিনে খালেদা জিয়ার কাছে কেউ কোন চিঠি আদান প্রদান করছে কিনা তা নিয়ে? কিন্তু উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এত বড় একটি ঘটনা ঘটে গেলো, পুরো সমাবেশে ডিজিটাল টি-শার্ট রঙিন পোস্টার ও অবৈধ টেলিফোনের ব্যবহার হলো অথচ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বললেন- ‘এটা সরকারের পূর্বে জানা ছিল না’। যে সরকার ২ বছরে রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানেকূটনৈতিক তৎপরতায় ব্যর্থ, যে সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত করায় ব্যস্ত, তাদের পক্ষে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা কখনোই সম্বব নয়। ‘রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা হবে’- মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, এই মন্ত্রীর কাছে আমি জানতে চাই- মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনাদের নেতারা কয়জন ছিলেন কলকাতায়, কয়জন ট্রেনিং নিয়েছিলেন, কয়জন ছিলেন রনাঙ্গনে? একাত্তরে কারা কলকাতায় বসে কারা মুভি দেখেছেন তাদের একটি তালিকা করা দরকার। ‘এই সরকার যদি মুক্তিযুদ্ধের সরকার হয় তাহলে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী কোন কারণে আজ কারাগারে?’ বিএনপি হতাশ নয় উল্লেখ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমি হতাশ নই। বিএনপির কোন রাজনৈতিক কর্মীর হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই, কারণ, বিএনপি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াাউর রহমানের আদর্শের দল। বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ করে বলতে চাই আপনারা ব্যাংক খেয়েছেন, শেয়ারবাজার খেয়েছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে করেছেন। তারপরও একবার সুযোগ পেলে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী মাঠে নেমে আসবে, তখন কিন্তু পালাবারও পথ পাবেন না। সরকারের উদ্দেশে ফারুক আরও বলেন, আপনারা যেভাবে চলছেন এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। আর আপনাদের হাতে সময় খুব কম। তাই এখনও সময় আছে, দয়া করে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন, তাঁর কোন অঘটন ঘটার আগেই তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় দেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। সংসদ সদস্যদের কর্মকান্ড নিয়ে সরকার চরম বিপাকে মন্তব্যব্য করে ফারুক বলেন, সংসদে চলছে আনন্দ বিনোদন। সাম্প্রতিক সময়ে এক সাংসদের যে ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এটা নিয়ে সরকার চরম বিপাকে। তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, জিয়ার রাজনৈতিক দলকে তারা ভয় পায়, তারেক রহমানকে তারা ভয় পায়। আর এ জন্যই ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপিকে জড়ানো হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোহিঙ্গাদের সুরে কথা বলছেন বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে কথা বলেছেন তার সমালোচনা করে ফারুক বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব এই কথাগুলো কেন বলছেন সেটা আমরা জানি। কারণ, তাদের পায়ের ণীচে কোন মাটি নেই, তারা গণতান্ত্রিক সরকার নয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ছাত্রদল নেতা আরিফা সুলতানা রুমা, পলাশ মন্ডল প্রমুখ।
×