ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাটোরের চামড়া বাজারে মন্দাভাব কাটেনি

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৭ আগস্ট ২০১৯

নাটোরের চামড়া বাজারে মন্দাভাব কাটেনি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর ॥ উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম চামড়া বাজারের মধ্যে অন্যতম নাটোর শহরের রেলষ্টেশন সংলগ্ন চকবৈদ্যনাথ এলাকায় অবস্থিত চামড়া বাজারে এখনো ট্যানারী মালিক বা তাদের প্রতিনিধির দেখা মেলেনি। এই চামড়ার বাজারে ঈদের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই চামড়া ক্রয়-বিক্রয় শুরু হলেও এখনো তারা চামড়া ক্রয় শুরু করেননি। ফলে চামড়া বাজারে মন্দাভাব রয়েই গেছে। প্রায় ৩০টি জেলা থেকে ট্রাকে করে চামড়া আসছে। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই খুচরাভাবেই চামড়ার ক্রয়-বিক্রয় চলছে। বিভিন্ন ট্যানারী মালিকরা সমগ্র চামড়ার ৫০ ভাগের বেশী নাটোর থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শাহরিয়াজ জানান, আমরা চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনার আহবান জানিয়েছি। যাতে করে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং নাটোরের চামড়া ব্যবসার যে সুনাম রয়েছে তা অক্ষুন্ন থাকে। ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় আমাদের দেশ থেকে ওয়েট ব্লু চামড়া বিদেশে রফতানি করা হতো। তখন বাংলাদেশের ছিল চামড়া ব্যবসায়ীদের জন্য স্বর্ণযুগ। কিন্তু ৯০ এর দশকে ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানী বন্ধ করে দেয়। তখন থেকেই দেশের বিশাল কাঁচা চামড়ার বাজার ট্যানারী মলিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তাদের বেধে দেয়া দামের বাইরে আমড়া চামড়া কিনতে পারিনা। ফলে চামড়া বাজারে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বাঁকীতে আর আমরা চামড়া বেচতে চান না ব্যবসায়ীরা। কারণ গত ৪ বছরের বকেয়া এখনো পরিশোধ করা হয়নি। শুধু মাত্র ঈদ- উল আজহার সময় নাটোরে ৯শ কোটি টাকার অধিক মূল্যের চামড়া কেনা বেচা হয়। কিন্তু এবছর পূজ স্বল্পতায় তারা চামড়া ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ব্যসায়ীদের অভিযোগ তাদের টাকায় ট্যানারী মালিকরা দামি গাড়ী ও বাড়িতে বসবাস করেন । অথচ টাকার অভাবে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না। মঞ্জুরুল আলম হিরু নামে অপর একজন আড়তদার জানান, বর্তমানে স্থানীয় ভাবে গরুর চামড়া ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বর্গফুট এবং খাসির চামড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা বর্গফুট অনুসারে বিক্রি হচ্ছে। মহিষের চামড়াও সরকার নির্ধারিত মূল্যেই কেনা হচ্ছে। নাটোরের বেশিরভাগ আড়তদার বর্তমানে মূলত কমিশন ভিত্তিক চামড়া কেনা বেঁচা করেন। তারা চামড়া প্রতি একটি কমিশন পেয়ে থাকেন। সুতরাং লাভ লসের ব্যাপারটি নির্ভর করে কতটুকু চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হল তার উপর।
×