ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি : শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ২৭ আগস্ট ২০১৯

এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি : শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা

দ্বিতীয় অধ্যায় (সৃজনশীল প্রশ্ন) ১। বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নবম শ্রেণির ছাত্র আবির ও আরিফ দুই বন্ধু কাবাডি ও বাস্কেটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে । আবির কাবাডিতে ভালো করলেও হাতের শক্তি কম থাকায় বাস্কেট বল খেলায় ভালো করতে পারেনি। অন্যদিকে আরিফ কাবাডি ও বাস্কেটবল উভয় খেলাতেই ভালো নৈপূণ্য প্রদর্শণ করেছে। ক) শক্তি কী? খ) বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক কার্যক্রম আলাদা কেন? ব্যাখ্যা কর। গ) আবির কীভাবে বাস্কেটবল খেলায় ভালো করতে পারবে? ব্যাখ্যা কর। ঘ) আবিরের শক্তি বাড়লেই কী সে আরিফের মতো বাস্কেটবল খেলায় ভালো করতে পারবে? ব্যাখ্যা কর। উত্তর ঃ ক) কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। শারীরিক শিক্ষায় শক্তি বলতে হাতের মাংসপেশির উন্নতির মাধ্যমে হাতের শক্তি বৃদ্ধি করাকে বুঝায়। উত্তর ঃ খ) শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রম সকল বয়সের লোকদের জন্য প্রজোয্য। তবে বয়স এবং লিঙ্গভেদে শারীরিক শিক্ষার কার্যক্রম নির্ধারণ করতে হয়। বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে ছেলে মেয়েদের শারীরিক গঠনের ক্ষেত্রেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের ফলে আচরণে সংকোচ ও লজ্জাভাব দেখা যায়। ছেলেরা সাহসিকতা ও ঝুঁকিপূর্ল কাজ করতে দ্বিধা করে না। বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক শক্তি ও সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রেও পার্থক্য থাকায় বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক কার্যক্রমও আলাদা করতে হয়। উত্তর ঃ গ) যারা বাস্কেটবল খেলায় ভালো করে তাদের দম,ক্ষিপ্রতা ও পায়ের শক্তি বেশি থাকতে হয়। ভালো উদ্দীপকের আবিরকে বাস্কেটবল খেলায় ভালো করতে হলে খেলার কৌশলের পাশাপাশি দম,ক্ষিপ্রতা ও পায়ের শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়ামের উপর জোর দিতে হবে। অধিক অনুশীলনে ভালো খেলা। তাই ভালো খেলতে হলে নিয়মমাফিক অনুশীলনের বিকল্প নেই। নিয়মমাফিক অনুশীলনের পাশাপাশি খেলার নিয়ম ও আইনকানুন ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।আবিরকে প্রতিদিন খেলার জন্য ২৫০০শক্তি(কিলোক্যালরি) খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে তার এই চাহিদা পূরণ হতে পারে। যারা ভালো বাস্কেটবল খেলে তাদের খেলা দেখতে এবং খেলা দেখে তাদের কৌশল আয়ত্ব করতে হবে। বাস্কেটবল খেলার জন্য শারীরিক যে যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রয়োজন,নিয়মিত ব্যায়াম অনুশীলনের মাধ্যমে তা অর্জন করতে পারলেই বাস্কেটবল খেলায় ভালো করতে পারবে। উত্তর ঃ ঘ) খেলার পূর্ব শর্ত হচ্ছে ঢ়যুংরপধষ ভরঃহবংং (শারীরিক যোগ্যতা)। যার ভরঃহবংং যত ভালো খেলাধুলায় তার পারদর্শিতাও ততো ভালো। উদ্দীপকের আলোকে বলা যায় আবিরের হাতের শক্তির জোর বাড়লেই সে আরিফের মতো বাস্কেটবল খেলায় ভালো করতে পারবে। ভালো বাস্কেটবল খেলার জন্য দম,ক্ষিপ্রতা ও পায়ের শক্তি বেশি থাকতে হয়।সেই সাথে প্রয়োজন বাস্কেটবল খেলার কলাকৌশলের দক্ষতা অর্জন। উদ্দীপকের আবির ও আরিফ দু’জনেই বাস্কেটবল খেলে কিন্তু আবিরের হাতের শক্তি কম থাকার কারণে,সে বাস্কেটবল খেলায় ভালো করতে পারেনা। আবিরকে বাস্কেটবল খেলায় ভালো করতে হলে আরিফের মতো হাতের শক্তি বাড়াতে হবে। বাস্কেটবল খেলার জন্য অন্যান্য অঙ্গের যে পরিমান সক্ষমতা প্রয়োজন তার সবকিছুই আরিফের আছে শুধুমাত্র হাতের শক্তির কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আবিরের হাতের শক্তি কম থাকায় সে কৌশলগত দিক থেকেও পিছিয়ে আছে। তাই আবিরকে বাস্কেটবল খেলায় ভালো করতে হলে হাতের শক্তি বাড়ানো পাশাপাশি বলধরা,বলপাস করা, ড্রিবলিং,শূটিং ও লেআপ শট ইত্যাদি বিষয়েও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ২। বিদ্যালয়ে সাহিত্য ক্লাব ও বিজ্ঞান ক্লাবের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলার প্রতিযোগিতা হয় । এতে যারা যারা ভালো করেছে তাদের নিয়ে একটি চৌকস ব্যাডমিন্টন দল গঠন করা হয়। এই দল পরবর্তীতে আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আঞ্চলিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন কবের। ক) শারীরিক শিক্ষা সম্পর্কে ডি.কে.ম্যাথিউস এর সংজ্ঞাটি লিখ। খ) এ্যাথলেটিক হার্ট বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। গ) সাহিত্য ক্লাব ও বিজ্ঞান ক্লাবের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলাটি শারীরিক শিক্ষায় কোন ধরনের কর্মসূচি ব্যাখ্যা কর। ঘ) উদ্দীপকে সাহিত্য ও বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিযোগিতা ও আন্তঃস্কুল ও মাদরাসার ব্যাডমিন্টন খেলা প্রতিযোগিতার ইভেন্ট ও কর্মসূচিএক তুমি কি বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। উত্তর ঃ ক) শারীরিক শিক্ষা সম্পর্কে ডি.কে.ম্যাথিউস বলেন,”শারীরিক কার্যকলাপের দ্বারা অর্জিত শিক্ষাই শারীরিক শিক্ষা।” উত্তর ঃ খ) খেলাধুলা ও ব্যায়ামের ফলে হৃৎপিন্ড বড়, নিরোগ ও শক্তিশালী হয় এরূপ হার্টকে বলা হয় অ্যাথলোটিক হার্ট। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলার করার মধ্য দিয়ে অ্যাথলোটিক হার্ট গঠন করতে হয়। অ্যাথলোটিক হার্টের ফলে হৃদপিন্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়,অধিক কার্যকরী হয় এবং শারীরিক সক্ষমতা বজায় থাকে। বিশ্বে অ্যাথলোটিক হার্ট মানুষের হাতেগোনা কয়েকজন।এদের মধ্যে ফুটবল স¤্রাট পেলে অন্যতম একজন। উত্তর ঃ গ) সাহিত্য ক্লাব ও বিজ্ঞান ক্লাবের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলাটি শারীরিক শিক্ষার অন্তঃক্রীড়াসূচীর অন্তর্গত। অন্তঃক্রীড়াসূচীর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ইন্ট্রামুরাল স্পোর্টস। ইহা একটি ল্যাটিন শব্দ। এর অর্থ হলো প্রতিষ্ঠানের চারি দেয়ালের মধ্যে বা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আকারে যে সমস্ত খেলধুলা হয়। যেমন,বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,এক শ্রেণির সাথে অন্য শ্রেণির ,যদি হাইজ থাকে তবে এক হাউজের সাথে অন্য হাউজের বা বিদ্যালয়ের এক ক্লাবের সাথে অন্য ক্লাবের প্রতিযোগিতা অন্তঃক্রীড়াসূচী বা ইন্ট্রামুরাল স্পোর্টসএর অন্তর্গত। অন্তঃক্রীড়াসূচীর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে থেকে সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা সম্ভব হয়। উত্তর ঃ ঘ) উদ্দীপকে সাহিত্য ও বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিযোগিতা,আন্তঃস্কুল ও মাদরাসার ব্যাডমিন্টন খেলা প্রতিযোগিতার ইভেন্ট ও কর্মসূচি এক আমি এই বক্তব্যের সাথে একমত নই। আমার বক্ত্যবের স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলো। উদ্দীপকের সাহিত্য ও বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিযোগিতা হলো অন্তঃক্রীড়া কর্মসূচি। এই ক্রীড়াসূচি বিদ্যালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের চারি দেয়ালের মধ্যে বা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আকারে যে সমস্ত খেলধুলা হয় তা হলো অন্তঃক্রীড়া কর্মসূচি এবং প্রতিষ্ঠানের চারি দেয়ালের বাহিরে বা অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা আকারে যে সমস্ত খেলধুলা হয় তা হলো আন্তঃক্রীড়াকর্মসূচি। আন্তঃস্কুল ও মাদরাসার ব্যাডমিন্টন খেলা প্রতিযোগিতা হলো আন্তঃক্রীড়া কর্মসূচি। উদ্দীপকে সাহিত্য ও বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিযোগিতা হলো বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন ক্রীড়াকর্মসূচি বা অন্তঃক্রীড়া কর্মসূচি আর আন্তঃস্কুল ও মাদরাসার ব্যাডমিন্টন খেলা প্রতিযোগিতা হলো আন্তঃক্রীড়া কর্মসূচি। ইভেন্ট হলো ক্রীড়াসূচীর দফা বা ক্রীড়াসূচীর ধাপ আর কর্মসূচি হলো ক্রীড়াসূচীর সমস্ত ইভেন্ট সমুহের সার্বিক কার্যক্রম। ইভেন্ট হলো কর্মসূচির একটি অংশ। ইভেন্টসমূহ সফল হলেই কর্মসূচির সফল সমাপ্তি হয়। কর্মসূচিকে সফল করতে হলে ইভেন্টের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হয়। কর্মসূচি হলো বৃহত্তম আর ইভেন্ট হলো ক্ষুদ্রতম।
×