ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাগুয়েরোর ৪০০ গোল সিলভার ৪০০ ম্যাচ

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২৭ আগস্ট ২০১৯

 এ্যাগুয়েরোর ৪০০ গোল  সিলভার ৪০০ ম্যাচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুপারস্টার সার্জিও এ্যাগুয়েরো ও অধিনায়ক ডেভিড সিলভার অনন্য মাইলফলকের ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। রবিবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের এ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাগতিক এএফসি বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সফরকারী সিটিজেনরা। এর ফলে আগের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে ড্র’র বৃত্ত ভেঙ্গে জয়ের ধারায় ফিরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সিটির জয়ে জোড়া গোল করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড এ্যাগুয়েরো। এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্যারিয়ারে ৪০০ গোল করার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। বিজয়ী দলের হয়ে অপর গোলটি করেন রাহিম স্টার্লিং। বোর্নমাউথের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হ্যারি উইলসন। এ্যাগুয়েরোর মতো ৪০০’র মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ডেভিড সিলভাও। তবে তিনি গোল নয়, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির হয়ে ৪০০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলে দলের শেষ দুই গোলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে মাইলফলক স্পর্শ রাঙ্গিয়েছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। এ্যাগুয়েরোর প্রথম গোলে অবদান রেখে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনও। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০ ‘এ্যাসিস্ট’ করেছেন বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার। ১২৩ ম্যাচ খেলে রেকর্ডটি গড়েছেন ডি ব্রুইন। আগের রেকর্ডটি ছিল আর্সেনালের মেসুত ওজিলের। ১৪১ ম্যাচে কীর্তিটি গড়েছিলেন জার্মান মিডফিল্ডার। আরেক ম্যাচে স্বাগতিক টটেনহ্যাম হটস্পারকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। বাজে এই হারে পয়েন্ট তালিকায় অবনমন হয়েছে স্পার্সদের। বর্তমানে তিন ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৭ নম্বরে আছে টটেনহ্যাম। অন্যদিকে সহজ জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে সিটি। ৭ পয়েন্ট ভা-ারে জমা পেপ গার্ডিওলার দলের। ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে লিভারপুল। জয়ের ধারায় ফিরতে পুরো ম্যাচেই আক্রমণাত্মক খেলেছে সিটি। এতে নেতৃত্ব দেন মিডফিল্ডে খেলা অধিনায়ক ডেভিড সিলভা। দলের দুটি গোলে অবদান রাখেন তিনি। যে কারণে ম্যাচ শেষে কোচ পেপ গার্ডিওলা সিলভার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। তার মতে, সিলভা বর্তমানে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার। শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে সিটি। তবে বলার মতো ভাল সুযোগ দলটি পায় ১৫ মিনিটে। আর প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় তারা। বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি বক্সে ফাঁকায় পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে না পেরে কেভিন ডি ব্রুইন ঠেলে দেন এ্যাগুয়েরোকে। প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এর ফলে লীগে টানা তিন ম্যাচে গোলের দেখা পান তিনি। ৩৯ মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় স্বাগতিক বোর্নমাউথের। ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডির ভুলে গোলমুখে বল পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি স্মিথ। অবশ্য চার মিনিট পর দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্টার্লিং। ছন্দে থাকা সিলভার রক্ষণচেরা পাস ডি বক্সে পেয়ে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার। এর মধ্য দিয়ে এবারের লীগে টানা তিন ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করলেন স্টার্লিং। ওয়েস্টহ্যামের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর টটেনহ্যামের বিপক্ষে একটি গোল করেছিলেন ইংলিশ তারকা। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে দর্শনীয় গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বোর্নমাউথ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+৩) অসাধারণ ফ্রিকিক থেকে গোলটি করেন উইলসন। বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করতে থাকে স্বাগতিকরা। কিন্তু ৬৪ মিনিটে এ্যাগুয়েরো আরেক গোল করলে তাদের আশা শেষ হয়ে যায়। আর সিটিরও জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এই গোলের মধ্য দিয়ে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ক্যারিয়ারে ৪০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এ্যাগুয়েরো। ম্যাচের শেষদিকে বোর্নমাউথ দুটি ভাল সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্ডিওলা বলেন, আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে আগের ম্যাচে খেলতে পারিনি। তবে কন্ডিশনটা জানা ছিল। শুধু রিদমটা পাওয়ার প্রয়োজন ছিল। এই ম্যাচে এসে সেটা পাওয়া গেছে। ছেলেদের খেলায় আমি খুশি। বিশেষ করে ডেভিড সিলভা ও এ্যাগুয়েরোকে আলাদা করে এগিয়ে রাখেন তিনি। সিটি বস বলেন, এ্যাগুয়েরোকে অভিনন্দন অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য।
×