সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, বাঙালীর মহাজাগরণের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালীর বৈষম্য ও বঞ্চনার ইতিহাস গভীরভাবে অনুভব করতে পেরে আজীবন তাদের মুক্তির জন্য লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। এ সময় তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশপ্রেম ও সাহসিকতার নজির পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান। সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে (তৃতীয় তলা) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এবং সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মোঃ তারিক মাহমুদ ও উপপরিচালক সামিয়া রুবায়েত হোসেইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, হুইপ ইকবালুর রহিম, আতিউর রহমান আতিক, উপসচিব একেএমজি কিবরিয়া মজুমদার, সহকারী সচিব আসিফ হাসান, সহকারী পরিচালক মাসুম বিল্লাহ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোস্তফা হোসেন, আতর আলী, আবুল খায়ের উজ্জ্বল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গসহ সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্পীকার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু তার জীবন-যৌবনের বড় অংশ কারাগারে কাটিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃতি করেন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় শোক সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
