ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আজ পুঠিয়ার রাজাকার সামাদের মামলার রায়

প্রকাশিত: ১০:২২, ২৭ আগস্ট ২০১৯

 আজ পুঠিয়ার রাজাকার  সামাদের মামলার রায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার রাজাকার আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসার রায় আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগের মতো চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ দিন নির্ধারণ করেছেন। এ মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা ও প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। রায় ঘোষণার জন্য ৮ জুলাই মামলাটি সিএভি (অপেক্ষমাণ) রাখা হয়েছিল। এটি হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৩৯তম রায়। প্রসিকিউশন পক্ষ যুক্তিতর্কের সময় বলেছে তারা চারটি অভিযোগই প্রমাণ করতে পেরেছে। তাই তারা আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- কামনা করেছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষ বলেছে প্রসিকিউন পক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আসামি খালাস পাবে। ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমভাগ ও গোটিয়া গ্রামে আাদিবাসী ও বাঙ্গালীদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালান আব্দুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা রাজাকার। এ সময় তার নেতৃত্বে সেখানে চলে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পুঠিয়া আক্রমণ করে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে মুসা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন। ১৯ এপ্রিল তিনি ৩০-৪০ হানাদার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে যান। সেখানে তারা ২১ জনকে আটক করেন। তাদের নিয়ে রাখা হয় গোটিয়া গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বাড়িতে। সেখানে দিনভর নির্যাতন করে ১৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। হত্যা করা হয় চারজনকে। পুঠিয়ার দুর্গাপুরে তার নির্দেশে তাদের গুলি করে মারা হয়। এরপর মুসার নির্দেশে পশ্চিমভাগ মাদ্রাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আক্কেল আলীর ছেলে আবদুস সাত্তারকে। মুসা পশ্চিমভাগ সাঁওতাল পাড়ার ধনাঢ্য আদিবাসী লাডে হেমব্রমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেন।
×