ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার সরকার ও বিএনপি একই সুরে কথা বলছে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২৭ আগস্ট ২০১৯

 মিয়ানমার সরকার ও বিএনপি একই সুরে কথা বলছে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মিয়ানমারের কাছে শেখ হাসিনা নাকি নতি স্বীকার করেছে! স্রোতের মতো রোহিঙ্গারা আসছে। সীমান্তে বারবার উস্কানি, নেত্রী বারবার বলছিলেন- খবরদার, ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। মিয়ানমার সরকার গত দুই বছরে যে উস্কানি প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত দিয়ে যাচ্ছে একই উস্কানির সুরে কথা বলছে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং তার মহাসচিব মির্জা ফখরুল। উভয়েই একই সুরে কথা বলছে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারা দুনিয়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। সারাবিশ্বের প্রশংসা পাচ্ছে- শেখ হাসিনার ভূমিকা, সরকারের কূটনীতি। আর বাংলাদেশে একটিমাত্র দল (বিএনপি) রীতিমতো প্রতিনিয়ত উস্কানির সুরে, সেই মিয়ানমার সরকার যে উস্কানির সুরে কথা বলছে, যে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে, যাতে করে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে না নেয়। বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিজেদের অপরাধের দায় উন্মোচিত হওয়ায়, অপরাধী হিসেবে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত হওয়ায় এরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরা আজ মিথ্যার বেসাতি করছে। এরা আজ বিষোদগার করছে। এদের কোন রাজনীতি নেই। রাজনীতির পরিশুদ্ধ ভাষাও এরা ব্যবহার করতে ভুলে গেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দুটি ট্র্যাজেডিতে, ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্টে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের সম্পৃক্ততা আর নতুন করে প্রমাণের দরকার নেই। আদালতে প্রমাণ হয়েছে, ইতিহাসের আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, জনতার আদালতে এদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। আসলে আগস্ট মাসে এদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কখন যে কি বলে আর কি করে বলা মুশকিল। অপরাধের শৃঙ্খলে আজকে এরা আবদ্ধ হয়ে পড়েছে, বন্দী হয়ে পড়েছে। সেজন্যই আজকে নানা বিষয়ে যখন যা খুশি, অসহায় ব্যর্থ রাজনীতিকের অসহায়ত্ব ঢাকতে প্রহসনমূলক প্রলাপ বকছে। বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন নিজেদের অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। নিজের দলেই যাদের গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্রের সঙ্কট আবিষ্কার করেছে। সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী, কৃষি বিজ্ঞানী ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি প্রমুখ। ঘাতকরা সেদিন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা বা কোন রাজনৈতিক হত্যাকা- ছিল না। এটা ছিল সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে মুছে দিয়ে আবার পাকিস্তানের অংশ বানানোর ষড়যন্ত্র। সোমবার রাজধানীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুর, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, হত্যা কারীরা ভেবেছিল তারা একটি রাষ্ট্র ও একটি আদর্শ কে হত্যা করবে কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের কেউ কেউ এখন ও চিহ্নিত নয়। এর আগে মন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর বেইলি রোডে সিদ্ধেশরী গার্লস স্কুলে লিচু গাছের চারা রোপণ করেন।
×