ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের ওয়ারী বিভাগে ডিসি ইব্রাহিম বরখাস্ত

প্রকাশিত: ১০:০০, ২৭ আগস্ট ২০১৯

 পুলিশের ওয়ারী বিভাগে ডিসি   ইব্রাহিম  বরখাস্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ইব্রাহিম খানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। যদিও বরখাস্ত করার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখল, দখলে সহযোগিতা, দায়িত্বে অবহেলা ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সামসুল হক। ছেলের বীরত্বের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে শহীদ সামসুল হক খানের মা মাসুদা খানকে ঢাকার নবাবপুর রোডের ২২১ নম্বর হোল্ডিংয়ে চার কাঠার একটি প্লট ইজারা দেন। মাসুদা খানের উত্তরসূরি হিসেবে তার ছেলে আজহারুল হক খানকে ওই জমি হন্তান্তর করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই জমিতে মাসুদা কর্পোরেশন ও এসএইচকে কর্পোরেশন নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। ২০১০ সালে সরকার শহীদ এ কে এম সামসুল হককে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেন। পুরান ঢাকার নবাবপুরের ওই জমিটি ২০১৮ সালে জবরদখল করে এবং সেখানে থাকা ভবন ভেঙ্গে ফেলে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় শেখ জাবেদ উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন ওই জমি আর বাড়ি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল পরিবারটিকে। বেদখল হওয়া সম্পত্তির দাম ছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে থানায় একাধিকবার জিডিও হয়। সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জাবেদ উদ্দিনের লোকজন জমি দখল করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার পরদিনই পরিবারটি এ বিষয়ে বংশাল থানায় মামলা করেন। কিন্তু থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের আইজি ও লালবাগ জোনের তৎকালীন ডিসি ইব্রাহিম খানের সঙ্গে সাক্ষাত করে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ডিসি পরিবারটিকে কোন সহযোগিতা করেননি। এ বিষয়ে বংশাল থানা ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে পরিবারটি। জমি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও আবেদন করা হয় পরিবারটির তরফ থেকে। এ ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরে ডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পরিবারটি। অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি করে পুলিশ সদর দফতর।
×