ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যে জমি নেয়া যাবে না ॥ কৃষির ক্ষেত্র রক্ষার উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২৬ আগস্ট ২০১৯

যে জমি নেয়া যাবে না ॥ কৃষির ক্ষেত্র রক্ষার উদ্যোগ

তপন বিশ্বাস ॥ কৃষি জমি সুরক্ষা আইন প্রণয়নে বিলম্ব হলেও ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এতে অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমি, নদী, খাল, বিল, জলাশয়, পুকুর পরিহার করতে বলা হয়েছে। জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সমন্বিত ও উঁচু ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে তা বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। দেশে আবাসন, নগরায়ন, শিল্পায়ন ক্রমশ বাড়ছে। এতে অতীতের তুলনায় পাঁচগুণ হারে কমছে ফসলি জমি। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি জাতিসংঘের সহায়তায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (এসআরডিআই) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক দশকে প্রতিবছর দেশে ফসলি জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর করে কমছে, যা মোট ফসলি জমির শূন্য দশমিক ৭৩৮ শতাংশ। অথচ এর আগের তিন দশকে প্রতিবছর ফসলি জমি কমেছে মাত্র ১৩ হাজার ৪১২ হেক্টর। একই সঙ্গে প্রতিবছর আবাসন খাতে ৩০ হাজার ৮০৯ হেক্টর, নগর ও শিল্পাঞ্চলে ৪ হাজার ১২ হেক্টর এবং মাছ চাষে ৩ হাজার ২১৬ হেক্টর জমি যুক্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালে কৃষি জমি সুরক্ষা আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই বছরই ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে ফসলি জমি তথা কৃষি জমি রক্ষায় দিকনির্দেশনা দেন। ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৮২ নম্বর স্মারকে জানিয়ে দেয়া হয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৃথক ভবনের পরিবর্তে সরকারী অফিসের জন্য একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে সমন্বিত ভবন নির্মাণ করতে হবে। পরে ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ভূমি ব্যবহার কমিটির প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন ‘মহানগর, জেলা ও উপজেলা বহুতল কমপ্লেক্স ভবন বা গুচ্ছাকারে এক বা একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একই মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস/আবাসিক স্থান সংকুলান করতে হবে।’ এমনকি গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন(এপিএ) চুক্তি স্বাক্ষরকালে তিনি আবার নির্দেশ দেন- যত্রতত্র দালানকোঠা ও স্থাপনা তৈরি হওয়ায় কৃষি জমি কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন আমাদের দেখা উচিত কিভাবে আমরা কৃষি জমি রক্ষা করতে পারি। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সকল জেলা প্রশাসকের উদ্দেশে কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। ডিসিদের দিকনির্দেশনা ॥ ভূমি মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবে কৃষি জমি বিশেষ করে দুই ও তিন ফসলি জমি অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। তবে একান্ত অপরিহার্য হলে এবং কেবল ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে এর সপক্ষে এবং গ্রহণযোগ্য যুক্তি- প্রমাণ প্রস্তাবে উল্লেখ করতে হবে। সরেজমিনে সম্ভাব্যতা যাচাইকালে অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত জমির মধ্যে কৃষি জমি আছে কিনা দেখতে হবে এবং থাকলে তা বাদ দিয়ে বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে অধিগ্রহণের প্রস্তাব দাখিলের পূর্বেই প্রত্যাশী সংস্থাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষি জমি তথা দুই ও তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিকল্প স্থান নির্বাচনের সুযোগ থাকলে অধিগ্রহণের প্রস্তাবের মধ্যে কৃষি জমি অন্তর্ভুক্ত করে দাখিলকৃত প্রস্তাব বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং বিকল্প স্থান নির্ধারণ করার জন্য প্রত্যাশী সংস্থাকে অনুরোধ করতে হবে। অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি সর্বনিম্ন তথা ন্যূনতম হতে হবে। এ ব্যাপারে লে-আউট প্ল্যান যথাযথভাবে যাচাই-বছাই করে অধিগ্রহণযোগ্য জমির পরিমাণ সর্বনিম্ন করতে হবে। জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৃথক ভবনের পরিবর্তে সরকারী/সংস্থার অফিসের জন্য একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে সমন্বিত ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও স্থাপত্য নক্সার মাধ্যমে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ন্যূনতম জমিতে উঁচু ভবন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে হবে। জলাধার সংরক্ষণ আইন- ২০০০ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। অধিগ্রহণ করা যাবে না। বরং প্রস্তাবিত জমিতে নাদী, খাল, বিল, জলাশয়, পুকুর ইত্যাদি থাকলে তার শ্রেণী অক্ষুন্ন রাখতে হবে এবং এর আকৃতি, প্রকৃতি পরিবর্তন করা হবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা দিতে হবে। জেলা প্রশাসক/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং প্রত্যাশী সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তা কর্তৃক সাময়িকভাবে সরেজমিন প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করতে হবে এবং জমির চাহিদা ন্যূনতম মর্মে সরেজমিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে। অধিগ্রহণকৃত জমি অব্যবহৃত থাকলে/ যথাযথভাবে ব্যবহার না করলে ক্ষতিপূরণ ব্যতীত পুনঃগ্রহণ করা যাবে। স্থাপর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন- ২০১৭, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ম্যানুয়েল- ১৯৯৭ এবং স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন- ২০১৭ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ৪৫৪ স্মারকে জারি করা নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। কৃষি জমি কমার হার ॥ দেশে আবাসন, নগরায়ন, শিল্পায়ন ক্রমশ বাড়ছে। এতে অতীতের তুলনায় পাঁচগুণ হারে কমছে ফসলি জমি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএসএইডের অর্থায়নে এবং ‘ন্যাশনাল ফুড পলিসি ক্যাপাসিটি স্ট্রেনদেনিং প্রোগ্রামের (এনএফপিসিএসপি)’ আওতায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়। তাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে দেশে কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ৯৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৫০ হেক্টর। ২০০০ সাল পর্যন্ত ৩ লাখ ২১ হাজার ৯০৯ হেক্টর কমে দাঁড়ায় ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪১ হেক্টরে। কিন্তু এর মাত্র ১০ বছরে ২০১০ সালে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর কমে মোট কৃষি জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৭ হেক্টরে। ১৯৭৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত শূন্য দশমিক ১৩৭ শতাংশ হারে কমলেও ২০০০ থেকে ২০১০ সাল মেয়াদে ওই হারের পাঁচ গুণের বেশি শূন্য দশমিক ৭২৮ শতাংশ হারে কমেছে। অস্বাভাবিক হারে ফসলি জমি কমে যাওয়ার এ প্রবণতাকে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল রিসার্স গ্রান্ড এ্যাডমিনিস্ট্রেটর নূর আহমেদ খোন্দকার বলেন, এবারই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের গবেষণা হয়েছে। ফসলি জমির কমার কোন গবেষণা না থাকায় এর আগে সঠিক তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত হতে হতো। তিনি বলেন, গবেষণায় ফসলি জমি কমার যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা উদ্বেগজনক। অধিক ফলনশীল জাতের ফসল উদ্ভাবন না হলে এরই মধ্যে ফসলি জমি কমার প্রভাব পড়ত খাদ্য নিরাপত্তায়। তারপরেও ফসলি জমি কমে আসার এই হার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি। গবেষক দলের প্রধান নাজমুল হাসান বলেন, দেশে এখন ৬ এর বেশি জিডিপি অর্জিত হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে নগরায়ন ও শিল্পাঞ্চল দিনে দিনে বাড়বেই। কিন্তু আমরা যদি নগরায়ন ও শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমির একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারি, তাহলে ফসলি জমি কমার হার অনেকাংশে কমে আসবে। কৃষি জমি ॥ গবেষণায় কৃষি জমি বলতে ফসলি জমি, বন, নদী, লেক, বিল ও হাওর, চা বাগান ও লবণাক্ত এলাকাকে ধরা হয়েছে। গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে কৃষিজ জমির মোট পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার ৬৫৪ হেক্টর, যা দেশের মোট আয়তনের ৯১ দশমিক ৮৩ ভাগ। ২৪ বছরের মাথায় ২০০০ সালে কৃষিজ জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৪২ হাজার ২৭৪ হেক্টর এবং ৩৪ বছরে অর্থাৎ ২০১০ সালে এই কৃষিজ জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ২১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০৪ হেক্টর। গবেষকদের হিসেবে, এই এক দশকে কৃষিজ জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক ৪১৬ শতাংশ হারে কমেছে। ১৯৭৬ সালে দেশে মোট সমতল বনাঞ্চলের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৭ হেক্টর, যা দেশের মোট আয়তনের ১২ দশমিক ১১ ভাগ। কিন্তু ৩৪ বছর পর ২০১০ সালে তা দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৬ হেক্টর, যা মোট আয়তনের ৯ দশমিক ৮৪ ভাগ। ১৯৭৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সমতল বন কমে এক দশমিক ০৫৪ শতাংশ। কিন্তু গত এক দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০১০ সাল মেয়াদে তা বছরে শূন্য দশমিক ০৯৩৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। সামাজিক বনায়নের প্রভাবে সমতল বনের পরিমাণ বেড়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়। ১৯৭৬ সালে দেশের মোট আয়তনের তিন দশমিক ১২ ভাগ জুড়ে ছিল সুন্দরবন। কিন্তু সুন্দরবনও ২০০০-২০১০ সাল মেয়াদে বছরে শূন্য দশমিক ০৩২ শতাংশ হারে হারিয়ে যাচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে সুন্দরবন ছিল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ হেক্টর, ২০০০ সালে তা বেড়ে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬১ হেক্টর হলেও ২০১০ সালে সুন্দরবনের আয়তন কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর। দেশের কৃষিজ জমির ক্ষেত্রে নদীর আয়তন কিছুটা বেড়েছে বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে নয় লাখ ১১ হাজার ৮১৯ হেক্টর নদী অঞ্চল ছিল, যা ২০০০ সালে কমে দাঁড়িয়েছিল আট লাখ ৮৮ হাজার ৪৪১ হেক্টরে। বছরে শূন্য দশমিক ০৩৩ শতাংশ হারে বেড়ে ২০১০ সালে তা নয় লাখ ৩৯ হাজার ৭৩ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। তবে ৩৪ বছরেও লেক, হাওর ও বিলের আয়তনের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশে পুকুর-ডোবার পরিমাণ মাত্র ৫৮২ হেক্টর ছিল, যা দেশের মোট আয়তনের দশমিক ৯৯ ভাগ। ২০১০ সালে দেশের মোট আয়তনের ১ দশমিক ২১ ভাগ জুড়ে রয়েছে পুকুর। ২০০০ সালে তা বেড়ে এক লাখ ৪৩ হাজার ৫০৬ হেক্টরে পৌঁছলেও পরের দশকে তা বছরে দশমিক ০২২ শতাংশ হারে বেড়েছে। ফলে ২০১০ সালে দেশে মাছ চাষের জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৩ হেক্টরে। তবে চা চাষের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে বলে গবেষণা বলা হয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে এক লাখ ১৯ হাজার ৮৪৭ হেক্টর জমিতে চা চাষ হতো এবং তা ২০০০ সাল পর্যন্ত বছরে দশমিক ০০৫ শতাংশ হারে বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩৩ হেক্টরে। কিন্তু পরবর্তী ১০ বছরে তা দশমিক ০২৯ শতাংশ হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ১৫২ হেক্টরে। দেশে লবণাক্ত কৃষি জমির পরিমাণ ৩৪ বছরে তিনগুণের বেশি বেড়ে ২০১০ সালে ১১ হাজার ৭৮৯ হেক্টর থেকে ৩৬ হাজার ২২ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। গত ১০ বছরে দশমিক ০০৮ শতাংশ হারে বেড়ে তা দেশের মোট আয়তনের দশমিক ২৫ ভাগ হয়েছে।
×