ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের বৈঠক আজ

প্রকাশিত: ১০:০৭, ২৬ আগস্ট ২০১৯

 বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের বৈঠক আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্ধারিত সময়ে পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনে আনার ওপর জোর দিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। রবিবার রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখার পাশাপাশি কোম্পানির বোর্ড মিটিং এই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। একইদিন ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুতখাতে সহায়তা সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুত বিনিময়, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারতের বিদ্যুতখাতে সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বিদ্যুত সচিব পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ভারতের বিদ্যুত সচিব সুভাস চন্দ্র গার্গির নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে এসেছে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ভারতের সব থেকে বড় কোম্পানি ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির চেয়ারম্যান এ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) গুরদীপ সিং। রবিরার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের অগ্রগতি দেখতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। বিদ্যুত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ভারতের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। রামপালেই বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসিএল) এর বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রটি উৎপাদনে আনার পক্ষে উভয় দেশ জোর দেয়। বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, ভারতের পক্ষ থেকে এখন কেন্দ্রটি উৎপাদনে আনার ওপর সব থেকে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। এখানের আরও একটি ১০০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এবারের বৈঠকে এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। বৈঠকে যোগ দেয়া একজন কর্মকর্তা জানান, রামপাল কেন্দ্রের ৪০ ভাগের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বিআইএফপিসিএল প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেছে। তারা বৈঠকে জানিয়েছে ইউনিট-১ এর কয়লার বাঙ্কার, টিজি ডেক সাব-স্ট্রাকচার, ইএসপি ও মেইন পাওয়ার হাউস এর অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে। ইউনিট-২ এর বয়লার ইরেকশন চলমান রয়েছে। মূল পাওয়ার হাউস এর পাইলিং সম্পন্ন হয়েছে। বয়লার অবকাঠামো, পাওয়ার হাউস ও ইএসপি এর নির্মাণ চলছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত উভয় দেশের ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দুই দেশের বিদ্যুতখাতে সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে কুমিল্লা দিয়ে আরও ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানিতে দুই দেশের ওয়ার্কিং গ্রুপ একমত হয়েছে। ত্রিপুরা থেকে এই বিদ্যুত বাংলাদেশে আসবে। এখন এই পথে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আসছে। ক্রসবর্ডার ইলেক্ট্রিসিটি ট্রেড এর পাশাপাশি ভারত নেপাল ও ভুটানকে যুক্ত করে এই অঞ্চলে বিদ্যুত বাণিজ্য সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। ভারতের জিএমআর নেপালে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। বিদ্যুত বিক্রির বিষয়ে উভয় দেশ একমত হলেও বিদ্যুতের দর নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটি এই মতপার্থক্য দূর করার পক্ষে মতামত দিয়েছে। এছাড়া ভুটানের সঙ্গে ভারত-ভুটান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় জল বিদ্যুত উৎপাদনে সমঝোতা স্মারক সই করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে গ্রিড লাইন নির্মাণের রুট সার্ভে প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সকাল সাড়ে নয়টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভারত বাংলাদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুই পক্ষ সকাল সাড়ে দশটায় সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত জানাবে।
×