ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোটরের পরিত্যক্ত ব্যাটারি পরিবেশ বিপন্ন করে

প্রকাশিত: ১০:০৩, ২৬ আগস্ট ২০১৯

 মোটরের পরিত্যক্ত  ব্যাটারি পরিবেশ  বিপন্ন করে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ মোটরগাড়ির পরিত্যক্ত ব্যাটারি, পরিত্যক্ত আইপিএস, ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জামের যন্ত্রাংশ গলিয়ে মন্ড বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এইসব দ্রব্য ভাঙ্গতে গিয়ে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছে চর্মসহ নানা ধরনের জটিল রোগ ব্যাধিতে। মন্ড রিসাইক্লিং করে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের পণ্য। বগুড়ার কয়েকটি স্থানে গড়ে উঠেছে ম- বানানোর চুল্লি। বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের পরিত্যক্ত ও ভাঙ্গরি জিনিস কিনে নেয় ফেরিওয়ালারা। তারা বিক্রি করে ভাঙ্গরি দোকানি ও মহাজানের কাছে। বগুড়া শহরের এক নম্বর রেলগেটের পেছনে, কলেজ রোডের ধারে চেলোপাড়া এলাকাসহ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গরি পণ্য বেচাকেনার দোকান গড়ে উঠেছে। মোটরগাড়ি, ইজিবাইকের ব্যাটারির ভেতরের সিসা (লেড), জিঙ্ক (দস্তা) বের করা হয়। প্লাস্টিকের কভার আলাদা করে রাখা হয়। এরপর ঢালাই ফ্যাক্টরির মতো চুল্লিতে গলিয়ে ছাঁচে ফেলে এক ধরনের ‘বার’ তৈরি হয়। সিসা ও দস্তার বার বিক্রি হয় বড় মহাজনের কাছে। কয়েক হাত গলিয়ে এগুলো চলে যায় রিসাইক্লিংয়ের বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে। এগুলো দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন আকারের ব্যাটরি, আইপিএস, পাওয়ার স্টোরেজ ব্যাটারি ও নানান ধরনের পণ্য। মোটরযানে ব্যবহার ছাড়াও হালে সোলার প্যানেলেও বিদ্যুত সংরক্ষণের জন্য দরকার ব্যাটারি। ব্যাটারির ভেতরের সালফিউরিক এসিড দীর্ঘস্থায়িত্ব সংরক্ষণ করে। এই এসিড পাল্টিয়েও সচল রাখা যায়। ব্যাটারি কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেললে ডাস্টবিনে ফেলা হতো। সেই দিন ফুড়িয়েছে। পরিত্যক্ত ব্যাটারি এখন মূল্যবান ভাঙ্গারি দোকানিদের কাছে। বেচাকেনা হয় ৮০ থেকে এক শ’ টাকা কেজি দরে। প্রতি জেলায় এ ধরনের ভাঙ্গারির দোকান গড়ে উঠেছে। পরিত্যক্ত ব্যাটারি সরবরাহ হয় সিসা ও জিঙ্ক কারখানায়।
×