ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৯:০২, ২৬ আগস্ট ২০১৯

 নীলফামারীতে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ স্কুল ছুটির পর নিখোঁজ পাঁচ বছরের শিশু সাবেদ হোসেন নামের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ। শরীরে আঘাতের চিহ্ন অবস্থায় রবিবার সকাল ১০টায় ডিমলা উপজেলার পচারহাট ব্যাঙ্গেরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর হতে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটি ওই স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। শিশুটি ডিমলা সদর ইউনিয়নের পচারহাট গ্রামের আব্দুস সালামের সন্তান। পুলিশসহ অনেকের ধারণা সু-পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা স্কুল সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে। জানা যায়, প্রাইভেট গাড়িচালক আব্দুস সালাম তার স্ত্রী রুনা বেগম ও দশ বছরের মেয়ে শরিফা আক্তারসহ ঢাকায় থাকত। আর তাদের ৫ বছরের ছোট ছেলে সাবেদ হোসেন একই এলাকার নানা হামিদুল ইসলামের বাড়িতে থেকেই ওই স্কুলে লেখাপড়া করত। শনিবার সকালে সাবেদ স্কুলে এলেও দুপুর ১২টায় স্কুল ছুটির পর আর নানার বাড়িতে ফিরেনি। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে শিশুটির নানা হামিদুল মোবাইলে ঢাকায় বসবাসরত মেয়ে জামাইকে বিষয়টি অবহিত করে। খবর পেয়ে তারা শনিবার রাতের বাসে উঠে রবিবার সকালে এলাকায় চলে আসে। এদিন সকালে উক্ত পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখসহ পুলিশের একটি টিম। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুকুর হতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহালে শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্নসহ তার ডান হাত ভাঙ্গা ছিল। শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলেকে এলাকার কেউ সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও ডান হাটটি ভেঙ্গে দিয়েছে। হত্যার আগে ছেলের ওপর যে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় তা স্পষ্ট। আমি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই। বাগেরহাটে শিশু স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, নিখোঁজের দুই দিন পরে কল্যাণ পাল (১০) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার কার্ত্তিকদিয়া পালপাড়া গ্রামে কল্যাণ পালের বাড়ি থেকে একটু দূরে ঘেরের পাশের নালা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার বিকেলে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়ি থেকে যাত্রাপুর বাজারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় কল্যাণ পাল। ওই দিন রাতেই কল্যাণের দাদু (নানা ) সুব্রত কুমার পাল বাগেরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কল্যাণ পাল সদর উপজেলার কার্ত্তিকদিয়া পালপাড়া গ্রামের কমল কৃষ্ণ পালের ছেলে এবং স্থানীয় সাজ্জাদ কাদের আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
×