ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তাড়াশ-রানীরহাট সড়ক মেরামতে ধীরগতি

প্রকাশিত: ০৯:০১, ২৬ আগস্ট ২০১৯

তাড়াশ-রানীরহাট সড়ক মেরামতে ধীরগতি

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ-রানীরহাট-শেরপুর সড়কের ১ম কিলোমিটার হতে ১৭তম কিলোমিটার পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ, শক্তকরণ ও মেরামত কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগসহ কাজের ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগ (সওজ) কয়েক দফা সতর্কীকরণ চিঠি দেয়ায় নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান প্রথম দফা কাজ করে ফেলে রাখার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে প্রথম দফার কাজ করা হয়েছে। জানা গেছে, জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে ৩০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে তাড়াশ-রানীরহাট-শেরপুর সড়ক প্রশস্তকরণ, শক্তকরণ ও মেরামত কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোঃ ময়েন উদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড কার্যাদেশ পায়। গত ২৫ মে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পরে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওই সড়কে কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যেই সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য পার্শ্ব সড়ক খনন করে সেখানে বালি ও খোয়া ফেলে সাববেজ করা হয়। কিন্তু যে বালি দিয়ে কাজ হয়েছে তা মূলত মাটি মিশ্রিত বালি। আর খোয়াগুলো বেশিরভাগ নিম্নমানের ইটের আধলা আকৃতির। যার ফলে গোটা রাস্তায় বৃষ্টি-কাদায় একাকার হয়ে চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি হলেও টনক নড়েনি সওজ বিভাগের। সড়কের বিভিন্ন অংশে ধুলো মিশ্রিত বালি ব্যবহারও করা হয়েছে এমন অভিযোগও করেন তালম ইউনিয়নের সদস্য মোঃ আব্দুল আজিজ। তিনি আরও জানান, নাটোরের সিংড়া, বগুড়ার শেরপুর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মেরামত কাজে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের বালি ও খোয়া ব্যবহার করার বিষয়টি তিনি স্থানীয় এমপিকে মৌখিকভাবে বলেছেন। এছাড়া নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাজের বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত সিটিজেন চার্টার লাগানোর নিয়ম থাকলে সড়কের কোথাও তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে মোঃ ময়েন উদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড’র ঠিকাদার প্রতিনিধি স্বীকার করে জানান, সড়কে সামান্য কিছু খারাপ বালি ভুলক্রমে ফেলা হয়েছিল। পরে তা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, শুধু বালি নয় সেখানে যে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে সেই সকল ইটের আকৃতি অনেক বড় ও নিম্নমানের। ফলে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কের প্রশস্তকরণে কাজের গুণগতমান একেবারেই খারাপ। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ-রানীরহাট সড়কের তদারকি কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ জানান, ওই সড়কে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পলিমাটি মিশ্রিত নিম্নমানের বালি ব্যবহারের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। এ কারণে ওই নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে কয়েক দফা লিখিতভাবে সর্তকীকরণ চিঠিও দেয়া হয়েছে এবং মেরামত কাজে ব্যবহার করা বালি সংগ্রহ করে তার গুণগতমান যাচাই করতে রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এ পাঠানো হয়েছে।
×