ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজনৈতিক কারণে হুমকি আসতে পারে অর্থনীতিতে

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ২৬ আগস্ট ২০১৯

রাজনৈতিক কারণে হুমকি  আসতে পারে অর্থনীতিতে

রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে হুমকি সৃষ্টি করতে পারে সেটাই দেখা গেল গত সপ্তাহে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন (জি-৭) শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে শনিবার ফ্রান্স পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এর আগে তার বক্তব্য থেকে ধারণা পাওয়া যায় বৈঠকটি তিনি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেননি। নিউইয়র্ক টাইমস। অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য কাকে কিভাবে দোষারোপ করা যায় তিনি সেটা খোঁজার চেষ্টা করে সময় অতিবাহিত করেন। টুইটারে প্রথমে তিনি তার কেন্দ্রীয় রিজার্ভ প্রধানকে যুক্তরাষ্ট্রের শক্র বলে অভিহিত করেন। পরে চীনের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করার জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। পরে শুক্রবার তিনি বলেন, সকল চীনা পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে এবং সেগুলোর শুল্ক বৃদ্ধি ইতোমধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। এরপরও বৈশ্বিক অর্থনীতি ভাল থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অর্থনীতি উপাত্ত শক্তিশালী। কিন্তু আগামী বছরে যদি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মন্দা এবং অচলাবস্থা দেখা দেয়, তাহলে এর দায়ভার পড়তে পারে বেজিংয়ের উয়োমিংয়ের গ্রান্ড টেটন্স ও ওভাল অফিসের কর্মকর্তাদের ওপর। এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, বাণিজ্যযুদ্ধ এবং দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বজায় থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে যখন শুক্রবার ভোর, তখন চীন ঘোষণা করে যে, তারা মার্কিন ৭৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে, যা আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। আর চীনা পণ্যের ওপর নতুন মার্কিন শুল্কও ওই একই দিন থেকে কার্যকর হবে। আর যারা আশা করেছিলেন বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে বাণিজ্যে শান্তি আসবে, তারা এখন এটাকে উত্তেজনার পরিবর্তে ইটের বদলে পাটকেল মারার পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। শুক্রবার জ্যাকসনে বিশ্বের শীর্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের একটি অর্থনৈতিক সিম্পোজিয়ামে ভাষণ দেন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি ইঙ্গিত দেন যে, খারাপ কিছু ঘটা থেকে রক্ষার জন্য নীতি বাস্তবায়নে ফেডারেল রিজার্ভ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রচেষ্টায় আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘যদিও অর্থনৈতিক নীতি শক্তিশালী একটি পন্থা, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি নির্ধারিত আইন এটা মেনে চলতে পারে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন মোকাবেলায় নীতি গ্রহণ করতে পারে।’ এর অর্থ পরিবর্তিত বাণিজ্য নীতির কারণে যদি অর্থনীতি দুর্বল হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন নীতি এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবে না।
×