ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাচিংয়ে ধারাবাহিকতা আনতে চান ফিল্ডিং কোচ কুক

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ২৫ আগস্ট ২০১৯

ক্যাচিংয়ে ধারাবাহিকতা আনতে চান ফিল্ডিং কোচ কুক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে ক্যাচ মিস যে কি ভোগান্তিতে ফেলেছে বাংলাদেশ দলকে তাতো সবারই জানা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে শুরুতে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলে দেন সাব্বির রহমান। ওয়ার্নার দেড় শ’ রান করেন। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে রোহিত শর্মার ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি তামিম ইকবাল। তিনি সেঞ্চুরি করেই মাঠ ছাড়েন। এই ক্যাচগুলো ধরতে পারলে হয়তো আরও ভাল কিছু মিলতে পারতো। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সেই সিরিজেও ক্যাচ মিসের মহড়া দেখা গেছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ক্যাচ ধরার ধারাবাহিকতা আনা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক সেটিই চান। বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররা দুর্দান্ত ক্যাচও ধরেন। কিন্তু কখনও এমন ক্যাচ মিস হয় যা কোনভাবেই হওয়া উচিত নয়। এমন ক্যাচ এমন ফিল্ডার মিস করেন, যিনি দলের সেরা ফিল্ডারদের মধ্যে অন্যতম। ফিল্ডিং আর ক্যাচিংয়ে দলের ফিল্ডাররা যে ধারাবাহিক নয় তাতো বরাবরই দেখা গেছে। তাই ক্যাচ নিয়েই আসলে বিশেষ ভাবনা দেখা গেছে। শনিবার প্রস্তুতি ক্যাম্পে আসলে স্পেশালি ফিল্ডিং আর ক্যাচ ধরাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ফিল্ডিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকান কুক প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিয়েই ফিল্ডিং আর ক্যাচ ধরার বেসিক নিয়ে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাচিংয়ে আমাদের ছেলেরা ধারাবাহিক নয়। যদিও বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমরা কিছু ভাল ক্যাচ দেখেছিলাম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো ক্যাচিংয়ে তারা ধারাবাহিক হতে পারছে না। ফলে আগামী কয়েকদিন এই বিষয়টিতেই আমাদের ফোকাস করতে হবে।’ ফিল্ডিং নিয়ে তিনি জানান, ‘ফিল্ডিংয়ে আমরা টেবিলের মাঝামাঝি আছি। বিশ্বকাপ চলাকালীন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আমাদের নিজেদের পরখ করে দেখার একটি ভাল সুযোগ ছিল। সেখানে আমি মাঝামাঝি দেখেছি। তবে শীর্ষ তিনে দেখলে আমি খুশি হতাম।’ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল অষ্টম হয়েছে। মাত্র তিনটি ম্যাচ জিততে পেরেছে। যেখানে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে দল বিশ্বকাপ মিশনে নেমেছিল। সেখানে ১০ দলের মধ্যে অষ্টম হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি। বাছাইপর্ব খেলে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে। সেই হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা দলগুলোর মধ্যে সবার নিচে ছিল বাংলাদেশ। তা হওয়ার পেছনে ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিস বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। কুক শনিবার অনুশীলন শেষে তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। বলেছেন, ‘আপনি যে লেভেলেই থাকুন না কেন সেখান থেকেই ফিল্ডিংয়ে উন্নতি সম্ভব। তবে এটা ঠিক এগুলো সবই অনুর্ধ-১৫’র বেসিক। কুকের মতে বিশ্বকাপ কিংবা শ্রীলঙ্কা সফরে যে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররা খুব বাজে করেছেন তা নয়। বিসিবির কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতেই বোঝা গেছে। তিনিই বলেছেন, ‘টি২০তে ফিল্ডিংয়ে আমরা সম্ভবত দশের মধ্যে ৬.৫ শতাংশ সফল হয়েছি। ওয়ানডেতে ৭.৫ এবং টেস্টে ৭ শতাংশ সফল হয়েছি।। এখানে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। তবে এখানে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ভাল করছি। আমি বিশ্বকাপের ফিল্ডিং রিপোর্ট জমা দিয়েছি। একই সঙ্গে আমি যে সিরিজে যুক্ত ছিলাম এগুলোও। আমাদের স্টাফরা অনেকে আসলেই ভাল করেছে। টেস্টে প্রতি খেলায় আমরা কত শতাংশ পেয়েছি এটা প্রকাশ করেছি অথবা আমরা ওয়ানডে ক্রিকেটে কত রান খরচ করেছি এবং বাঁচিয়েছি এগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘একটা জায়গায় আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। সামর্থ্যরে জায়গায় খেলোয়াড়দের পজিশন ঠিক করতে হবে। আমরা বিশ্বকাপে এটার ওপর অনেক জোর দিয়েছিলাম। আমরা শ্রীলঙ্কায় অনেকটাই ভাল করেছি। এগুলোই অন্তর্ভুক্ত ছিল রিপোর্টে।’ এখন দেখা যাক, সামনে কতটা ধারাবাহিক হতে পারেন ফিল্ডাররা।
×