ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনায় খালে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৫ আগস্ট ২০১৯

বরগুনায় খালে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ২৪ আগস্ট ॥ বরগুনা জেলা শহরের ভাড়ানী খাল দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা শনিবার গুঁড়িয়ে দিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিচুর রহমান জানিয়েছেন, পঙ্গু সৈনিক নামে পরিচিত আবদুর রব সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুপারিশক্রমে প্রথমে ভূমি অফিসের মাধ্যমে ৪ শতাংশ খাসজমি বরাদ্দ নিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে আরও ৫ শতাংশ জমি বরাদ্দ পেয়েছে। সেই জমি থেকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে দেড় শতাংশ জমি আবদুল হালিম নামে একজনের কাছে বিক্রি করেছেন। আবদুর রব এর বাইরেও আরও ৫ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ভাড়া আদায় করে আসছিলেন এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা জামানত হিসেবে নিয়েছেন। আবদুর রবের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে বরগুনাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ আগস্ট বরগুনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল ভাড়ানী খালের পাড় দখল করে আবদুর রবের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান। ওইদিনের সভায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান শুরু হয়। বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিচুর রহমানসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও পৌর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে পাকা, সেমিপাকা ও কাঠের তৈরি ১৫টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পার্বতীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা পার্বতীপুর থেকে জানান, রেল কতর্ৃৃপক্ষ পার্বতীপুরে রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেজন্য এক সপ্তাহ ধরে পার্বতীপুর শহরে পশ্চিম রেলের পাকশীর বিভাগীয় ভূসম্পত্তি দফতরের পক্ষ থেকে গণমাইকিং করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যারা রেলের সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে অবস্থান করছেন, তারা নিজ দায়িত্বে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা অপসারণ করে সরে যান। অন্যথায় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন অবকাঠামো অপসারণের আনুষঙ্গিক ব্যয়সহ সবকিছু আদায় করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে শহরের মানুষ বিচলিত হয়ে পড়েছে উচ্ছেদ আতঙ্কে। যোগাযোগ করলে পাকশীর বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নূরউজ্জামান শনিবার জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে রেলের যাবতীয় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পশ্চিম রেলের জামতৈল রেল স্টেশন থেকে শুরু হবে অভিযান। পার্বতীপুর রেল জংশন স্টেশনে ২ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযান চলবে। তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে অভিযান শুরু হয়ে নানা কারণে তা স্থগিত হয়েছে। এখন তা হবে না। উচ্ছেদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ হার্ড লাইনে। রেলের জমিতে অবৈধভাবে কেউ অবস্থান করতে পারবে না। নওগাঁ নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, জেলা পরিষদ পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পার্কের আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে সেখানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট একেএম ফজলে রাব্বী বকু, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মোঃ রফিক, সচিব আব্দুল্লাহ হিল বাকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রমুখ।
×