নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২৪ আগস্ট ॥ শেরপুরে অবসরপ্রাপ্ত কারারক্ষী পিতা মুসলিম উদ্দিনের দায়ের কোপে পুত্র শফিকুল ইসলাম (২৫) খুন হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ধাতিয়াপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এদিকে দুপুরে অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী চরশেরপুর এলাকা থেকে হন্তারক পিতা মুসলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ধাতিয়াপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কারারক্ষী মুসলিম উদ্দিন (৬০) নিজ বসতবাড়িতে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে পুত্র শফিকুল ইসলামের সঙ্গে বাগবিত-ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে মুসলিম উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে পুত্র শফিকুল ইসলামের ঘাড়ে কোপ দিলে সে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শফিকুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নেত্রকোনায় যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, এক নেশাগ্রস্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে শফিকুল ইসলাম (২০) নামে আরেক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর উপজেলার গুজিরকোনা গ্রামে। নিহত শফিকুল ইসলাম গুজিরকোনা গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। জানা গেছে, শুক্রবার রাত পৌনে ন’টার দিকে শফিকুল ইসলামকে তার বাড়ির সামনের নির্জন রাস্তায় পেয়ে একই গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে তাবারক হোসেন ওরফে তোবারক (২৪) ছুরিকাঘাত করে। এতে শফিকুল গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান অবস্থার অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনায় গৃহবধূ ও শিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা থেকে জানান, ভাঙ্গুড়ায় মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলার অভিযোগ তুলে স্ত্রী তৃষা খাতুনকে (২০) পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে স্বামী । শনিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরভাঙ্গুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী আক্তার হোসেন পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, দেড় বছর আগে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পারভাঙ্গুড়া গ্রামের কোরবান আলীর মেয়ে তৃষার সঙ্গে উপজেলা সদর ইউনিয়নের চরভাঙ্গুড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আক্তার হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস পর আক্তার মালয়েশিয়া চলে যায়। এরপর থেকে তৃষা স্বামীর বাড়িতেই থাকত। শুক্রবার আক্তার মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসে। বাড়িতে ফেরার পরই পরিবারের সদস্যরা আক্তারের কাছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলার অভিযোগ করে।
এদিকে সুজানগর আল এহসান একাডেমি নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং পৌরসভার নিউগিরবনগ্রাম মসজিদের ইমাম হাফেজ মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের (৩২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সুজানগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ছগির প্রাং-এর ছেলে। সুজানগর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রকি জানান, শুক্রবার রাত দশটার দিকে ডায়রিয়া ও বমি হওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক প্রায় ২ বছর আগে বিয়ে করে স্ত্রী সাথী খাতুনকে নিয়ে পৌরসভার নিউগিরবন গ্রামের মোহাম্মদ আলী মদনার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আল এহসান একাডেমিতে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি স্থানীয় মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে উক্ত বাসার মালিক উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ আলী মদনার ছেলে মামুনের রুম থেকে গত ১৯ আগস্ট তিন লাখ টাকা চুরি হয়। সেই কারণে আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সাথী খাতুনকে দোষারোপ করতে থাকে মামুন। এ নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রীর ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তারা। এর মধ্যে শুক্রবার দুপুরে মামুন কবিরাজ নিয়ে আসে। কবিরাজ গুড় পড়া দিয়ে আব্দুর রাজ্জাককে খাওয়ায়। এরপর মসজিদে আছর ও মাগরিব নামাজের পর বমি ও পাতলা পায়খানা হলে অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাতে সুজানগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে মামুন জানায় তার টাকা হারিয়ে যাওয়ার পর একসঙ্গে এ গুড় প্রায় ১৬ ব্যক্তি খেয়েছে তাদের কোন সমস্যা হয়নি।
চট্টগ্রামে বৃদ্ধ
স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, শনিবার দুপুরে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপারে শিকলবাহা খাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে। তার নাম মোঃ আবুল কাশেম (৬০)।
কর্ণফুলী থানা পুলিশ জানায়, বৃদ্ধ আবুল কাশেম শনিবার সকালে দক্ষিণপারে খালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেয়া হলে ডুবুরি এনে তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজির পর বেলা দুটার দিকে ওই খাল থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার হয়।
যশোরে গৃহবধূ ও বৃদ্ধা
স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, মণিরামপুরে রাজিয়া সুলতানা (২১) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাজিয়া ওই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী ও উপজেলার পাড়ালা গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে বিল্লাল-রাজিয়ার বিয়ে হয়। নয় মাস বয়সী মাওয়া নামে ওই দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। শুক্রবার সকালে জামাই বিল্লালের কাছে ২০ হাজার টাকা ধার চেয়ে ছোটভাই কোরবান আলীকে মেয়ের বাড়ি পাঠান ইউনুস আলী। এই নিয়ে বিল্লাল-রাজিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাতে গলায় গামছা জড়িয়ে ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে রাজিয়া আত্মহত্যা করে বলে জানানো হচ্ছে। এই ব্যাপারে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোন কথা বলতে রাজি হননি বিল্লাল। এদিকে বিল্লালের প্রতিবেশী একাধিক ব্যক্তি জানান, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে বিল্লাল রাজিয়াকে নির্যাতন করত। অন্যদিকে মমতাজ বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মমতাজ বেগম উপজেলার ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী। তিনি পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের জননী। কি কারণে শেষ বয়সে এসে মমতাজ বেগম আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।
নাটোরে নবদম্পতির আত্মহত্যা
নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, গুরুদাসপুরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর অপমৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলামের ছেলে আবু হাসান (১৯) ও তার স্ত্রী স্বপ্না খাতুন (১৬) শনিবার ভোরে নিজগৃহে গ্যাস ট্যাবলেট খেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর দুজনই মারা যান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু অপমৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই মাস আগে রাজশাহীর পুঠিয়ার শফিকুল ইসলামের মেয়ে স্বপ্নার সঙ্গে গুরুদাসপুরের গোপিনাথপুর গ্রামের আবু হাসানের প্রেমের সম্পর্ক ধরে বাল্যবিয়ে হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে মান অভিমান চলত। এক পর্যায়ে শনিবার ভোরে একসঙ্গে বিষ (গ্যাস ট্যাবলেট) পান করেন তারা।