ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশ সদস্যের স্ত্রী হত্যা ॥ পাঁচ লাখ টাকায় রফা

প্রকাশিত: ১২:২৬, ২৫ আগস্ট ২০১৯

পুলিশ সদস্যের স্ত্রী হত্যা ॥ পাঁচ  লাখ টাকায় রফা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২৪ আগস্ট ॥ সদরের এক গৃহবধূ ২ সন্তানের জননীকে তার স্বামী পুলিশের এক কনস্টেবল হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ৫ লাখ টাকা ও সম্পত্তির বিনিময়ে সালিশ করে নিহতের ময়নাতদন্ত ছাড়াই শনিবার সকালে তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়েছে। তবে নিহতের স্বামীর দাবি তার স্ত্রী নিজেই পেটে ছুরিকাঘাতে মারা যায়। প্রশ্ন উঠেছে, আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও কেন ময়নাতদন্ত হলো না এবং কেন সালিশ করে ৫ লাখ টাকা দেয়া হবে মর্মে চুক্তি হয়। স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের সরদারবাড়ির নাছির হাওলাদারের কন্যা জেসমিনের সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে ভোলা-ইলিশা বিশ্ব রোড এলাকার পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মাকসুদের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের ২ সন্তান রয়েছে। নিহতের স্বামী ঢাকায় পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। গত ১৮ তারিখ রাতে জেসমিন (২৫) ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়। তার পর তাকে ঢাকার দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ রয়েছে, স্বামীর সঙ্গে পরনারীর কথা বলা ও ঘরে আসা-যাওয়া নিয়ে দাম্পত্য কলহ হয়। তার জের ধরে পেটে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। ভোলা-ইলিশা ইউনিয়নের মানিক বাঘা জানান, নিহত জেসমিনের পরিবার পক্ষে অভিযোগ করেন জেসমিনকে মারা হয়েছে আর ছেলে পক্ষ বলেন, জেসমিন নিজেই পেটে ছুরি মারে। এ নিয়ে সালিশ হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয় নিহত জেসমিনের ২ সন্তানের নামে ৫ লাখ টাকা ডিপোজিট করা হবে। এছাড়া ওই পুলিশের যে জমি রয়েছে তা অর্ধেক লিখে দেবে। মেয়ের পক্ষে ভাই সালাউদ্দিন এবং ছেলের পক্ষে চাচা উপস্থিত ছিলেন।
×