ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সংযোগের প্রয়োজনীয়তায় বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু’

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ২৫ আগস্ট ২০১৯

‘শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সংযোগের প্রয়োজনীয়তায় বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনাবিষয়ক আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সংযোগের প্রয়োজনীয়তায় বিশ্¦াস করতেন বঙ্গবন্ধু। তাহলেই পরিপূর্ণতা লাভ করবে শিক্ষাব্যবস্থা। বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু যে জনকল্যাণমুখী নীতি অবলম্বন করেছিলেন তা বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের শিক্ষা চিন্তার ফসল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার এটিও ছিল বড় একটি কারণ। শিক্ষানীতি কার্যকর করতে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে শিক্ষাক্ষেত্রে যে আনুপাতিক বাজেট বরাদ্দ করা হয় সেই কাঠামোয় আজও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সেই সময় বাজেটে শিক্ষা খাতে প্রতিরক্ষা খাতের চাইতে চার শতাংশ বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা ও তার বাস্তবায়ন’ শীর্ষক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে একক বক্তৃতা করেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন লোক গবেষক শামুসজ্জামান খান ও শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইতিহাস সম্মিলনী আয়োজিত একক বক্তৃতাগুলো নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর জয়যাত্রা’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি সম্পাদনা করেছেন মুনতাসীর মামুন ও তপন পালিত। অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। দেশের সীমিত সম্পদের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষার এমন এক দীর্ঘমেয়াদী রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন যা শিক্ষা ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। প্রতিরক্ষার চাইতে শিক্ষায় বরাদ্দ বেশি দিয়েছিলেন তিনি। লোক গবেষক শামসুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা চিন্তার মধ্যে যে মৌলিকতা দেখা যায় তা কেবল সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই দেখা যায়। শিক্ষার আলোয় সামন্ততন্ত্রের উচ্ছেদ এবং উৎপাদনের সঙ্গে শিক্ষাকে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করতে হবে, এটাও বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক চিন্তার অংশ। কোন রাষ্ট্রনায়ক যখন কোন দেশের রূপরেখা তৈরি করেন এবং তিনি যদি খাঁটি দেশপ্রেমিক হন তাহলে সেই সামগ্রিক চিন্তা করতে হয়। বঙ্গবন্ধু ঠিক সেটাই করেছিলেন। শিক্ষা চিন্তায় বিশে^র উন্নত দেশগুলো যেমন বেশি গুরুত্ব বেশি বরাদ্দ করেছিল বঙ্গবন্ধুও সেই পথেই হেঁটেছেন। শুধু তাই নয় শিক্ষা সম্প্রসারণে তিনি আমলাদের ওপর নির্ভর না করে শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন। মুনতাসীর মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী রাজনীতিবিদ। আমরা যাকে বলি, ক্ষণজন্মা। তিনি শিক্ষা নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ও পরিকল্পনা করেছিলেন তা যদি আজ বাস্তবায়িত হতো তাহলে বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে অবস্থান করত। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আর্থিকভাবে খুব দুরবস্থার মুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় অভাবকে মোকাবেলা করেও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিয়ে ভেবেছেন, পরিকল্পনা করেছিলেন।
×