ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হ্যাজেলউড তোপে ইংলিশদের লজ্জা

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ২৪ আগস্ট ২০১৯

 হ্যাজেলউড তোপে ইংলিশদের লজ্জা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হেডিংলি টেস্টের ফল কি হবে সেটি পরের বিষয়। তবে দ্বিতীয়দিনেই বড় রকমের লজ্জায় পড়ল ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়ার ১৭৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬৭ রানে অলআউট জো রুটের দল। অবিশ্বাস্য বৈকি। ১৯৪৮ সালের পর টেস্টে অসিদের বিপক্ষে এটিই তাদের সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার নজির। ক’দিন আগে লর্ডসে পুচকে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৮৫ রানে অলআউট হয়েও ম্যাচ জিতেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু এটি যে এ্যাশেজ সিরিজ। প্রতিপক্ষ যেখানে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে। সেখানে ইংলিশদের এভাবে ভেঙ্গে পড়া ভীষণ লজ্জার। যদিও জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই সফরকারীরা। শুক্রবার দ্বিতীয়দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৫৩। লিড দেড় শ’র ওপরে। বৃষ্টি বা ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে মাত্র দ্বিতীয়দিনেই দু’দলের তৃতীয় ইনিংসের অর্থ রেজাল্ট হচ্ছে হেডিংলিতে। সেটা কোনপথে গড়ায় সেটিই দেখার অপেক্ষা। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের রেস না কাটতেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের ৮৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা তারা জিতেছিল। কিন্তু এবার মর্যাদার এ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংস শেষ ৬৭ রানে, মাত্র ২৭ ওভার ৫ বলে। যা তাদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বাদশ সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। অথচ জোফরা আর্চারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে ১৭৯ রানেই আটকে দিয়ে হাসি ফুটেছিল ইংলিশদের মুখে। কিন্তু জবাবটা তারা দিতে পারলো কই? ব্যাটিংয়ে নেমে উল্টো লজ্জার মুখে পড়ল। আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয় দেখল ওয়ানডের বিশ্বকাপ জয়ীরা। শুধু বিপর্যয় বললে ভুল হবে, মহাবিপর্যয় আসলে। দুর্দান্ত হ্যাজলউড ১২ ওভার ৫ বল করে মাত্র ৩০ রান খরচায় নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাকি ৫ উইকেটও পেসারদের, প্যাট কামিন্স ৩টি আর জেমস প্যাটিনসনের শিকার ২টি করে। জস হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স আর জেমস প্যাটিনসনের ত্রিমুখী পেস আক্রমণে শুরু থেকেই রীতিমতো দিশেহারা অবস্থা ছিল ইংলিশদের। আউট হওয়া প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে মাত্র একজন (জো ডেনলি ৪৯ বলে ১২) ‘ডাবল ডিজিট’ ছুঁতে পেরেছেন। বাকিরা ফিরেছে সিঙ্গেলে। ররি বার্নস (৯), জেসন রয় (৯), জো রুট (০), বেন স্টোকস (৮) কিংবা জনি বেয়ারস্টো (৪)- অসি পেসারদের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পারেননি কেউই। জো ডেনলি ১২ না করলে পুরো ফোন নম্বরই হয়ে যেত ইংলিশদের ইনিংস। আগের পরের কেউই যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ডেভিড ওয়ার্নার প্রথম স্লিপে একাই নিয়েছেন চার-চারটি ক্যাচ। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে লজ্জায় ডোবাতে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন জস হাজলউড। আর ২৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন জেমস প্যাটিনসন। বিশ্বকাপ জয়ের পর হুঙ্কার ছোড়া ইংলিশরা প্রথম টেস্টেই হারে বড় ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হয়। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই টেস্টে তাদের জিততেই হবে। সেখানে এমন বিপদে রুটের দল। হেডিংলিতে আর কোন নাটক অপেক্ষা করছে কি না সেটিই দেখার অপেক্ষা।
×