ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হংকং ইস্যুতে ভুল তথ্য

২১০ চ্যানেল বন্ধ করল ইউটিউব

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ২৪ আগস্ট ২০১৯

 ২১০ চ্যানেল  বন্ধ করল  ইউটিউব

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ হংকং আন্দোলন নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে চীনা নাগরিকদের ৯৩৬ এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ফেসবুক কর্তৃপক্ষও তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বন্ধ করেছে সাতটি পেজ, তিনটি গ্রুপ ও পাঁচটি এ্যাকাউন্ট। টুইটার ও ফেসবুকের এ পদক্ষেপের পর একই পদক্ষেপ নিয়েছে গুগলের ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবও। হংকং আন্দোলন নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে ২১০ ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ। খবর ইয়াহু নিউজের। বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল ইস্যুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন উত্তাল গোটা হংকং। নিজেদের অধিকার আদায়ে এখন হংকংয়ের রাজপথে লাখ লাখ গণতন্ত্রকামী মানুষ। যাদের অংশগ্রহণে এ বিক্ষোভ মোড় নিয়েছে স্বাধীনতার আন্দোলনে। নিজেদের আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে চলমান গণতন্ত্রকামীদের এ আন্দোলন ঠেকাতে এখন পর্যন্ত নানা পদক্ষেপ নিয়েছে চীন, দিয়েছে হুঁশিয়ারিও। এরপরও থেমে নেই গণতন্ত্রকামীদের এ আন্দোলন। ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, বরং দিনকে দিন আন্দোলনকারীর সংখ্যা আরও বাড়ছেই। এর মধ্যেই এ আন্দোলন নিয়ে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। আন্দোলন নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। বৃহস্পতিবার ইউটিউব এসব চ্যানেল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব চ্যানেল থেকে হংকংয়ের আন্দোলন নিয়ে নানা বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও দেয়া হচ্ছে। যা ষড়যন্ত্রমূলক। এক ব্লগ পোস্টে গুগলের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা শ্যান হান্টলি বলেন, সম্প্রতি হংকং আন্দোলনের ইস্যুতে চীন নিয়ে টুইটার ও ফেসবুক যে পর্যালোচনা করেছে, তারই ধারাবাহিকতায় ইউটিউব চ্যানেল বন্ধের এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে বন্ধ করে দেয়া এ চ্যানেলগুলো চীনাদের কিনা, এ বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। চীনে ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও হংকংয়ে এ বিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে নিষেধাজ্ঞার পরও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে চীনা নাগরিকরাও ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহার করে থাকেন। অপরাধ প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিক্ষোভে উত্তাল গোটা হংকং। যে বিক্ষোভ এখন মোড় নিয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনে।
×