ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প পণ্যের প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ২৪ আগস্ট ২০১৯

 আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প পণ্যের প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাজার বছরের ঐতিহ্যের অহঙ্কারে উজ্জ্বল এদেশের নানা পণ্য। জাতিসত্তার গৌরবগাথা মেলে ধরে সেসব পণ্য। সেই গৌরবগাথা তুলে ধরতে বাংলাদেশ ঐতিহ্য কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রাজধানীতে শুরু হলো আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী পণ্যের প্রদর্শনী। শুক্রবার সকালে র‌্যাডিসন হোটেলের উৎসব হলে ‘দ্বিতীয় হেরিটেজ গালা ইভেন্ট-আগস্ট ২০১৯’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। দুদিনের এ প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের নানা অনুষঙ্গ। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে ছিল ফ্যাশন শো। দেশের স্বনামধন্য মডেলরা উপস্থিত দর্শকদের সামনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মসলিন, জামদানি, সিল্ক, খাদি কাপড়ে তৈরি আধুনিক ডিজাইনের শাড়ি ও পোশাক ফ্যাশন শোয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এবং চিরায়ত বাংলার প্রতিনিধিত্বকারী সব লোকজ উপকরণ স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। বিভিন্ন স্টলে ভিন্ন ভিন্ন পণ্য নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। রয়েছে জামদানি, মসলিন, রাজশাহী সিল্কের শাড়ি, হাতে নক্সা করা শাড়ি ও স্যালেয়ার কামিজ, শখের হাঁড়ি, মাটির টেপা পুতুল, পাট দিয়ে বানানো লোকজ পণ্য প্রভৃতি। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঢাকাই পনির, বাখরখানি, পিঠা ইত্যাদি। প্রধান অতিথি হিসেবে দুদিনের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ত্রান ভান খোয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা তুতলি রহমান। বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট রোকেয়া আফজাল রহমান, বাংলাদেশ হেরিটেজ ক্রাফটস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মোঃ মনজুর কাদের, গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট সাখাওয়াত আবু খায়ের মোহাম্মদ, নারী উদ্যোক্তা দিলরুবা আহমেদ, ডলি ইকবাল প্রমুখ। এইচটি ইমাম বলেন, বাংলার ঐতিহ্য টিকে রয়েছে গৌরবের সঙ্গে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পের ধরন বদলায়। কিন্তু ঐতিহ্য হারিয়ে যায় না। ঐতিহ্যকে আধুনিকতার স্পর্শে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আধুনিক শিল্পীর ও উদ্যোক্তাদের দায়িত্ব। ঐতিহ্য কারুশিল্প ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরবার জন্য অনন্য এক আয়োজন করেছে। কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ঐতিহ্য আমাদের জাতিগত পরিচয়কে তুলে ধরে। আধুনিক বিশ্বে আমরা বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠছি ঠিকই। কিন্তু আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালী আর তা মিশে রয়েছে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যের মাঝে। রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, তুতলি স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দেয়। এই যে আয়োজন নিয়ে সে হাজির হয়েছে তা অনেক প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। তাদের কাজ করার ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। আমি আশা করবো এভাবেই সে নতুন নতুন চমক নিয়ে বার বার হাজির হবে। তুতলি রহমান বলেন, স্বপ্ন দেখতে হবে। যদি আমনরা স্বপ্নই না দেখি তাহলে তা বাস্তব রূপ পাবে কিভাবে! ঐতিহ্য কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সম্মিলিত স্বপ্নই আজ এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে। আমাদের এ অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু ঢাকায় সকাল এগারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। আজ শনিবার সমাপনী দিনের আয়োজন বসবে সকার এগারটায়। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফতং হামফ্রেস। সম্মানিত অতিথি থাকবেন বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট রুবানা হক। মামুনুর রশীদের শিল্পযাত্রা ও জীবনকথন ॥ এদেশের রঙ্গমঞ্চের এক অনন্য শিল্পী মামুনুর রশীদ। অনবদ্য অভিনয় থেকে নাটক রচনা কিংবা নির্দেশনা- সবকিছুতেই যেন সমান পারঙ্গম। শুক্রবার ছুটির দিনের সন্ধ্যায় এই নাট্যজন বললেন তার সেই শিল্পিত জীবনের কথা। প্রসঙ্গক্রমে উঠে এলো বরেণ্য নাট্যকার ও অভিনয়শিল্পীর জীবনের অন্য প্রসঙ্গও। সেখানে জানা গেল মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকার কথা থেকে কবিবন্ধু নির্মলেন্দু গুণের সঙ্গে কথা। ভক্ত ও অনুরাগীতে পরিপূর্ণ ছিল মিলনায়তন। রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘এক বক্তার বৈঠক : মামুনুর রশীদ’। থিয়েটার পত্রিকার সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আবদুল্লাহ আল মামুন থিয়েটার স্কুল। কথার একপর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধে নিজের ভূমিকার কথা মেলে ধরেন শিল্পী। বলেন, সেই সময় আমার ভাবনায় আসে কলকাতার মতো ঢাকাতেও নিয়মিত নাট্যচর্চা হবে। অনুষ্ঠানে শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। বলেন, দুই মাস পরপর নাট্যজগতের বিশিষ্টজনদের নিয়ে নিয়মিতভাবে এ অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে। প্রথম আয়োজনে আনা হয়েছিল আসাদুজ্জামান নূরকে।
×