ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাটোরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৪ আগস্ট ২০১৯

 নাটোরে যুবলীগ  নেতাকে কুপিয়ে  জখম

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ২৩ আগস্ট ॥ সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মাহবুব হায়দার মিন্টুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় তার প্রাইভেটকারটি ভাংচুর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের বঙ্গজল এলাকার এ ঘটনা ঘটে। মিন্টু শহরের উত্তর চৌকিরপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং বগুড়ার ইউনিক কন্সালটেশন ফার্মের ব্যবস্থাপক। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও যুবলীগ কর্মী সুমন, বাবুসহ সাতজনের নামে নাটোর থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিন্টু জানান, তিনি বৃহস্পতিবার বগুড়া থেকে নাটোর বাড়িতে আসেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে বের হলে স্থানীয় সন্ত্রাসী সুমন ও বাবুর নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে জিম্মি করে বাড়ির পাশে ট্রমা সেন্টারের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এসে সুমন নামের এক যুবক আহত হয়। সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা, মোবাইল, চেক বই নিয়ে নেয় । তিনি বলেন, এ সময় মিন্টুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মিন্টুকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। মিন্টু অভিযোগ করেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী বাবু ও সুমন দীর্ঘদিন ধরে মিন্টুর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল । অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবু ও যুবলীগ কর্মী সুমন জানান, মিন্টু হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তারা জড়িত নয়। মিন্টুর নেতৃত্বে ইতোপূর্বে সাব্বির বাহিনী সুমনের হাতের রগ কেটে দেয় এবং বাবুর দুই পা ভেঙ্গে দেয়। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিন্টু তাদের ফাঁসাতে মিথ্যাচার করছে। এ বিষয়ে নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন জানান, মিন্টুর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের বিষয়ে মিন্টুর বোন মুন্নী বাদী হয়ে একই এলাকার সুমন ও বাবুসহ সাতজনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
×