ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সান্তাহারে স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতা ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৪ আগস্ট ২০১৯

  সান্তাহারে স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতা ॥ ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ২৩ আগস্ট ॥ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের এসএমআই একাডেমি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারপাশে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসার চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। ফলে মাঠ থাকলেও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলের চারপাশ জলবদ্ধতার কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ডেঙ্গু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কমে গেছে। সরেজমিনে জানা গেছে, ওই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জলাবদ্ধতায় পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি ভেঙ্গে স্কুলে প্রবেশ করছে। জলাবদ্ধতার কারণে স্কুলের প্রতিদিনের শিক্ষার্থী সমাবেশ (এ্যাসেম্বিল) করা সমস্যা দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধ পানি নেমে গেলেও ময়লা-আবর্জনা রয়েই যায়। দ্বিতল স্কুল ভবনের নিচে ও চারপাশে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে মশার উপস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক অভিভাবক জলাবদ্ধতার কারণে ডেঙ্গু আতঙ্কে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে আসতে দিচ্ছে না। এই অবস্থায় স্কুল কর্তৃপক্ষ চরম সঙ্কটে পড়েছে। সান্তাহার এসএমআই একাডেমি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে একই নামের উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পেরিয়ে যেতে হয়। সেই উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এ বিষয়ে সান্তাহার পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, স্কুলটির জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। তারপরও আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আদমদীঘি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম দেওয়ান বলেন, স্কুলটির জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যা বিষয়ে আমি অবগত আছি। সমস্যা সমাধানে সরকারী বরাদ্দের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। ওই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরসেদা খানম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই স্কুলটির সামনের মাঠসহ চারপাশ প্রচ- জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রতিদিনের শিক্ষার্থী সমাবেশ করা যায় না। এছাড়াও স্কুলের অবকাঠামোসহ নানা সমস্যা আছে। বাগেরহাট স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃষ্টির পানিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। যে কারণে চার শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী নিদারুণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এনিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট ধর্ণা দিলেও আজও কোন ফল হয়নি। অনেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ চলায় অনেকে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা তৃষ্ণা ভট্টাচার্র্য জানান, খুলনা মাওয়া ও বাগেরহাট মহাসড়কের পাশের্^ টাউন নওয়াপাড়া জমিদার শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়ির অদূরে টাউন নওয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। এই বিদ্যালয়ে টাউন নওয়াপাড়া পিলজংগ ও শ্যামবাগাত এই তিনটি গ্রামের চার শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। বছরের কোন সময় একটু বৃষ্টি হলেই হাটু সমান পানি জমে স্কুল ও একমাত্র মাঠটি একাকার হয়ে পড়ে। তখন শিশুরা হাঁটু সমান পচা কাদা ও বিষাক্ত পানি ডিঙ্গিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হয়। কোন সময় বৃষ্টির পানির মধ্যে পড়ে অনেকের বই খাতা ও জামা কাপড় ভিজে যায়। অভিভাবকেরা জানান, বৃষ্টির পানি জমে থাকার মূল কারণ তিন গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১.৫ কিলোমিটার প্যানার খাল পুনঃসংস্কার করে।
×