স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে যশোর নিউমার্কেটে নির্মিত হচ্ছে পাঁচতলা বিশিষ্ট সরকারী মার্কেট। মার্কেটে থাকছে ৬০০ দোকান। ইতোমধ্যে মাটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়ে চলছে নির্মাণ কাজ। সেই সঙ্গে দোকান বরাদ্দ দেয়ার লক্ষ্যে ৪৯৩টি আবেদন জমা নেয়া হয়েছে। পাঁচতলার এ মার্কেট নির্মাণে ব্যয় হবে ৮০ কোটি টাকা। এসব তথ্য জানান জাতীয় গৃহায়নের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক কুমার সরকার।
যশোর হাউজিংয়ের (জাতীয় গৃহায়ন) উপসহকারী প্রকৌশলী মাসউদ রেজা জানান, সরকারীভাবে এ মার্কেট নির্মাণের আগে যশোর নিউমার্কেটে ছিল জাতীয় গৃহায়নের ৭০টি দোকানের একতলা মার্কেট। পাকিস্তানী আমলের নিয়মানুযায়ী দোকানদাররা ৮৯ টাকা ভাড়া দিয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫২ বছর ব্যবসা করতেন। আলোচনা করার পরও সেখানকার ব্যবসায়ীরা দোকান ভাড়া বাড়াননি। তাই জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ যশোর উপশহরে তাদের নিজস্ব জমিতে ১০ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর তারা নিউমার্কেটকে আধুনিক মার্কেট করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৮ সালে যশোর নিউমার্কেটের একতলা ভবন ভেঙ্গে ১০ তলা ফাউন্ডেশনের পাঁচতলা মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে মার্কেটের মাটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। আগামী ২০২১ সালে এ মার্কেটে দোকানদাররা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন বলে জানায় যশোর হাউজিং কর্তৃপক্ষ।
তারা আরও জানান, পাঁচতলা বিশিষ্ট এ মার্কেটে নির্মাণ করা হবে ১২০ স্কয়ার ফিটের ৬০০ দোকান। মার্কেটের নিচে থাকবে ১০০ গাড়ি রাখার ব্যবস্থা। মার্কেটের প্রতি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে ৫২ হাজার স্কয়ার ফিট। প্রতি স্কয়ার ফিটের দোকানের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া হবে ৯ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা করে।
এ ব্যাপারে যশোর হাউজিং এস্টেটের (জাতীয় গৃহায়ন) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক কুমার সরকার জানান, শহরের কোন মার্কেটে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই। মার্কেটে মানুষ কেনা কাটা করতে গেলে তাদের গাড়ি অন্য জায়গায় রেখে হেঁটে মার্কেটে যেতে হয়। কিন্তু যশোর নিউমার্কেট নির্মাণের পর মানুষ গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। মার্কেটের নিচে গাড়ি রেখে ওপরে নিশ্চিন্তে কেনাকাটা করবে।
শহরের যানজটের কারণে মানুষের কথা চিন্তা করে এ মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এমন মার্কেট আর নেই। পাঁচতলা বিশিষ্ট সরকারী মার্কেট এটাই প্রথম যশোর উপশহরে নির্মাণ করা হচ্ছে।
