ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুভেচ্ছা দূত থেকে প্রিয়াঙ্কাকে সরাতে পাকিস্তানের আবেদন নাকচ

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৩ আগস্ট ২০১৯

 শুভেচ্ছা দূত থেকে প্রিয়াঙ্কাকে সরাতে পাকিস্তানের আবেদন নাকচ

অনলাইন ডেস্ক ॥ গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের হামলার পর টুইটারে ‘জয় হিন্দ’ লিখেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আর তাতে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান জাতিসংঘের কাছে প্রিয়াঙ্কাকে ‘শুভেচ্ছা দূত’ এর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করে। যা নাকচ করে দিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুভেচ্ছা দূতরা তাদের নিজস্ব মতামত নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখেন। “নিজেদের আগ্রহ বা উদ্বেগের বিষয় নিয়ে কথা বলার পূর্ণ অধিকার তাদের আছে।” প্রিয়াঙ্কা জাতিসংঘের শিশু অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়ি বহরে বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়। পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি দল জইশ-ই-মোহাম্মদ ওই হামলার দায় স্বীকার করে। প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদলটির একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে তিন শতাধিক জঙ্গিকে হত্যার দাবি করে। ওই হামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াঙ্কার টুইটি “জয় হিন্দ #ইন্ডিয়ানআর্মডফোর্স”। ওই টুইটের পর তাকে শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে সরিয়ে দিতে অনলাইনে পিটিশন দায়ের করা হয় এবং মুহূর্তেই হাজারো মানুষ পিটিশন আবেদন স্বাক্ষর করেন। হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে ‘উগ্র দেশপ্রম এবং ভারতীয় সশ্রস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন’ করার কথা বলে এ সপ্তাহে পাকিস্তানের মানবাধিকারমন্ত্রী শিরিন মাজারি ইউনিসেফের পরিচালকের কাছে একটি চিঠি লেখেন এবং সংস্থাটির শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। শিরিনের অভিযোগ ছিল, ওই টুইটের মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কা ‘যুদ্ধ, এমনকি পরমাণু যুদ্ধকে সমর্থন’ করেছেন। যদিও ১৪ আগস্টের জঙ্গি হামলা বা জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বোমা বর্ষণ নিয়ে প্রিয়াঙ্কা কোনো কথা বলেননি। প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের করা পিটিশন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুথপাত্র বলেন, “তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ বা কর্মকাণ্ডে ইউনিসেফের লক্ষ্য প্রতিফলিত হওয়া জরুরি নয়। “তবে যখন তারা ইউনিসেফের হয়ে কথা বলবেন তখন তারা নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে ইউনিসেফের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে আমরা আশা রাখি।”
×