ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডাকসু আয়োজিত স্মারক বক্তৃতায় ঢাবি উপাচার্য

‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের রূপকার’

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ২৩ আগস্ট ২০১৯

‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের রূপকার’

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের রূপকার হিসেবে অভিহিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করেছিলেন। এদেশের গরিব ও দুঃখী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করাই ছিল তার রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ডাকসু আয়োজিত স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ডাকসু’র জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস মোঃ সাদ্দাম হোসেন আলোচনায় অংশ নেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বীজ রোপণ করে গেছেন। তার আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার জন্য তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। স্মারক বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রশাসনিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন, সংবিধান প্রণয়ন, শরণার্থী পুনর্বাসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, ৪০ হাজার প্রাথমিক স্কুল সরকারীকরণ, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, কৃষি ঋণ বিতরণ, কৃষকদের মাঝে গাভী ও সেচ পাম্প বিতরণসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেন। তার দেখানো পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে সমৃদ্ধি ও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
×