ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটা সৈকত সুরক্ষা বাঁধ

কাজ শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে গেছে জিও টিউবের বালু

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ২৩ আগস্ট ২০১৯

কাজ শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে গেছে জিও টিউবের বালু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২২ আগস্ট ॥ কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরী সুরক্ষা প্রতিরোধের কাজ শেষ না হতেই জিও টিউবের বালু বেরিয়ে গেছে। মিশে গেছে বেলাভূমের সঙ্গে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে। কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। সিডিউল যথাযথ মানা হয়নি। টিউবে ভরা হয়েছে সৈকতের লোকাল বালু। নিম্নœমানের টিউব ব্যবহার করা হয়েছে। এরইমধ্যে এই কাজ পাউবো কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলেও কথা উঠেছে। কুয়াকাটা সৈকতে শূূন্যপয়েন্টর পূর্বপাশের জিও ব্যাগ ও টিউব স্থাপন মোটামুটি হয়েছে। কিন্তু পশ্চিম পাশে করা হয়েছে যাচ্ছে-তাই। ফলে এ বর্ষা মৌসুম আদৌ সাগরের ঢেউ থেকে সৈকতে বেলাভূমি রক্ষা হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে জিও ব্যাগ দিয়ে সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে কাজের শুরু থেকেই। প্রকাশ্যে জিও টিউবে লোকাল বালু ভরাট করা। টিউবের সামনে সৈকত থেকে বালু কেটে গর্ত করা হয়েছে। জিও টিউব ও ব্যাগে ২০০ নম্বর সিপি বালু ভরে সৈকত রক্ষার কাজ করার নিয়ম রয়েছে। সেখানে বেশিরভাগই দেয়া হয়েছে সৈকতের বালু। কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি করে দিনে ও রাতের আঁধারে লোকাল বালু ভরাট করা হয়। এবড়োখেবড়ো জিও টিউব স্থাপন করায় সৈকতের সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। জিও ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিজেজিও টেক্সটাইল লিমিটেড কোম্পানি এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পাউবো কলাপাড়া সার্কেল সূত্রে জানিয়েছে, সমুদ্রে সৈকত ভাঙ্গনরোধে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় ১৫৬০ মিটার দীর্ঘ জিও টিউব প্রতিস্থাপন করে প্রতিরক্ষার কাজ শুরু হয়। ১৫ এপ্রিল কার্যাদেশ দেয়া হয় বিজেজিও টেক্সটাইল লিমিটেডকে। যা চলতি সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকার পিকনিক স্পট থেকে শুরু করে কুয়াকাটা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জিও ব্যাগে এ প্রতিরক্ষা বাঁধ করার কথা। যেখানে ৬৪টি জিও টিউব ও আট হাজার জিও ব্যাগ দেয়ার কথা রয়েছে। প্রতিটি জিও টিউবের দৈর্ঘ্য থাকবে ৩০ মিটার এবং প্রস্থ চার মিটার। জিও বস্তা হবে পিপি সাইজ। জিও টিউবের রিভার সাইটে দুটি করে জিও বস্তা ২ দশমিক ৭৪ মিটার প্রস্থ এবং কান্ট্রি সাইটে দুটি করে জিও বস্তা ২ দশমিক ৭৪ মিটার উঁচু ব্যাগ দিয়ে এ সৈকত সুরক্ষা বাঁধ করার নির্দেশনা দরপত্রে রয়েছে। কুয়াকাটা পৌর কাউন্সিলর মোঃ শাহ আলম হাওলাদার জানান, বেড়িবাঁধের সেøাপে গর্ত করে মোটা বালুর পরিবর্তে জিও টিউবে লোকাল বালু ভরার প্রতিবাদ করায় পাউবো কলাপাড়া কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাঁধাদানের অভিযোগ এনে নোটিস দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, জনসম্মুখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করলেও পাউবো কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক ভূমিকায় তিনিসহ সাধারণ মানুষ হতাশ। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মুনিবুর রহমান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলেছেন।
×