ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলছাত্রী দীপ্তি অপহৃত হয়নি ॥ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিল

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৩ আগস্ট ২০১৯

স্কুলছাত্রী দীপ্তি অপহৃত হয়নি ॥ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২২ আগস্ট ॥ নিখোঁজ হওয়ার একমাস পাঁচদিন পর স্কুলছাত্রী দীপ্তি রানী সূত্রধরকে (১৪) উদ্ধার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। বুধবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দীপ্তি স্বীকার করেছে, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। সে স্বেচ্ছায় পালিয়ে তার প্রেমিকের সঙ্গে দিব্যি সংসার করছিল। আর এদিকে তাকে অপহরণের অভিযোগে বিনাদোষে হাজতবাস করছে সুজিত বর্মণ নামে এক যুবক। জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের পাড়া দুর্গাপুর গ্রামের শিরিশ সরকারের মেয়ে দীপ্তি রানী সূত্রধর আশুজিয়া জেএনসি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৬ জুলাই সে স্কুলে যাবার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর আর বাড়ি ফিরেনি। স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথায়ও তার সন্ধান পায়নি। পরে ১৭ জুলাই রাতে শিরিশ সরকার কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় আশুজিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন বর্মণ, তার ছেলে সুজিত বর্মণ ও মেয়ে মনি রানী বর্মণকে আসামি করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ সুজিত বর্মণকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু দীপ্তি রানীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সুজিতের সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সুজিত বর্মণ বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে দীপ্তিকে উদ্ধারের বিষয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। পরে বুধবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দীপ্তি স্বীকার করেÑ পাশর্^বর্তী গৌরীপুর উপজেলার সিংরাহুন্দ গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে হান্নান মিয়ার (২২) সঙ্গে তার দু’বছর যাবত প্রেম চলছিল। এ কারণে হান্নানের হাত ধরেই সে পালিয়ে গিয়েছিল। হান্নান একজন রডমিস্ত্রি। পালানোর পর তারা মুন্সির মাধ্যমে বিয়ে করে। এরপর থেকে তারা টঙ্গী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত। তবে হান্নানকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
×