ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাশ্মীর কোন্ পথে

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ২৩ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীর কোন্ পথে

॥ এগারো ॥ ’৭১-এ বাংলাদেশে পরাজয় অবধারিত জেনে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা তাদের এদেশীয় সহযোগী জামায়াতে ইসলামীর ঘাতক বাহিনীর দ্বারা যেভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনক্সা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছিল, কাশ্মীরেও তারা ঠিক তাই করেছে। কাশ্মীরকে মেধাশূন্য করে সেখানকার প্রশাসন, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার জন্য তারা হত্যা করেছে নব্বই বছরের বৃদ্ধ শিক্ষাবিদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী মাওলানা মওদুদী, মীরওয়াইজ মৌলভি ফারুক, দক্ষিণ কাশ্মীরের মীরওয়াইজ কাজী নাসির আহমেদ, দূরদর্শনের পরিচালক লাসা কাউল, হিন্দুস্তান মেশিল টুলস-এ ব্যবস্থাপক এইচ এল খেরা, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুশীরউল হক, আইনসভার সদস্য নাজির আহমেদ ওয়ানীসহ মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে শত শত অসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাকে। যাদের মনে করা হয়েছে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী, যাদের গণ্য করা হয়েছে পাকিস্তানের আদর্শবিরোধী- তাদেরই নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ এ কথা সব সময় বলে- তারা স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরীদের নৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দেয়া ছাড়া আর কিছুই সেখানে করছে না। তাদের এই সরকারী ভাষ্য কতটুকু অসত্য তার প্রমাণ পাওয়া যাবে প্রাক্তন আইএসআই প্রধান আখতার আবদুর রহমানের জীবনীতে। তাঁর জীবনীকার হারুণ রশীদ লিখেছেন, ‘কাশ্মীরীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিকল্পনা জেনারেল আখতার আবদুর রহমান প্রণয়ন করেছিলেন আফগানিস্তানের স্বাধীনতার মডেল অনুযায়ী, যা বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিল ১৯৯১-এর ভেতর। কাশ্মীর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৮৪ সাল থেকে। প্রথম পর্যায়ে কাশ্মীরীদের দেয়া হয়েছিল এমন সব অস্ত্র যা আফগান মুজাহিদীনের জন্য উপযুক্ত ছিল না।’ কাশ্মীরের জঙ্গী মৌলবাদীদের মোকাবেলা করার জন্য ভারতের সেনাবাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে যা অনেক সময় বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষে এ কাজ খুবই কঠিন ছিল কারণ কাশ্মীরে ৫৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণ রেখাটি হচ্ছে অত্যন্ত দুর্গম পার্বত্য এলাকার ভেতর। পাকিস্তানী মদদপুষ্ট তালেবান ও মুজাহিদীনরা যেভাবে গেরিলা কায়দায় হামলা করে সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে চলে যেতে পারে সেনাবাহিনীর পক্ষে তাদের মোকাবেলার জন্য সীমান্ত অতিক্রমের কোন অবকাশ নেই। অনেক সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলার জন্য কোন গ্রাম বা জনপদ ঘেরাও করতে হয়েছে। উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ে অসামরিক অনেক নিরীহ লোকও মারা গেছে। এসব মৃত্যুকে কাশ্মীরে সেনাবাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হিসাবে পাকিস্তান ও পশ্চিমের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে, যা ভারতের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আরও দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, যারা তাদের বিরুদ্ধে অহরহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে সেই সব জঙ্গী মৌলবাদী দলের নেতাদের নিরাপত্তার জন্যও তাদের ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়। কাশ্মীরে মৌলবাদী সব দল যে এক মত ও পথের অনুসারী তা কিন্তু নয়। এদের ভেতর এমন সব দল আছে যারা কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়, অপর পক্ষ চায় কাশ্মীরকে স্বতন্ত্র একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে। কাশ্মীরের ২৬টি মৌলবাদী রাজনৈতিক দল ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের মোর্চা হচ্ছে ‘অল পার্টি হুরিয়াত কনফারেন্স।’ এর প্রাক্তন প্রধান মীর ওয়াইজ উমর ফারুখ আমাকে বলেছেন, তাদের মোর্চার দুটি প্রধান দল কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। কাশ্মীরে ইসলামপন্থীদের সংগঠিত জঙ্গী তৎপরতার সূচনা ঘটে ১৯৮৯ সালে। শুরু থেকেই জঙ্গীরা কাশ্মীরের সামাজিক সাংস্কৃতিক জীবন পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়। তারা প্রথম পদক্ষেপে সিনেমা হল, বিউটি পার্লার, ভিডিও ক্লাব, মদের দোকান ও বার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ইসলামী রীতি-নীতি চালু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। পুরুষদের ক্ষেত্রে বলা হয় দিনের ভেতর একবার, অন্ততপক্ষে ফজরের নামাজের সময় মসজিদে উপস্থিত থাকতে হবে। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষকে প্রচলিত আদালতের প্রতি আস্থাহীন করে তোলা হয়েছে। কাশ্মীরী ও উর্দু ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকায় সেক্যুলার আইনের অসারতা তুলে ধরে এবং ইসলামী আইনের গুরুত্ব প্রচার করে লেখা ছাপা হতে থাকে। মৌলবাদী ইসলামী শিক্ষাবিদ ও উলামাদের দ্বারা ‘দারুল শরিয়া’ গঠন করা হয়। এই আদালতে ব্যক্তিগত বিরোধ, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সম্পত্তি ও যৌতুক সংক্রান্ত বিষয়াদি বিচারের জন্য আনা হয়। এরপর অন্যান্য অপরাধঘটিত বিষয়Ñ যেমন চুরি, ডাকাতি, হত্যার মতো বিষয়ও দারুল শরিয়া বিচার করা শুরু করে। এসব মামলার বিবরণী স্থানীয় পত্রিকায় গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়। ১৯৮৯ থেকে কাশ্মীরে জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠনের বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এসব দল ‘নিজামে মুস্তফা’ অর্থাৎ ইসলামিক শরিয়া আইনভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়। অধিকাংশ দল ইসলামিক কাশ্মীর প্রতিষ্ঠা এবং/কিংবা একটি ইসলামিক রাষ্ট্রের (পাকিস্তান) সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো প্রচার করতে থাকে। ধীরে ধীরে ‘স্বাধীনতা’ শব্দটির স্থলে ‘জিহাদ’-এর প্রচলন হয়, যা কিনা তাদের মতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা এবং মানুষকে সত্যের পথে আনার জন্য অপরিহার্য। ’৯০-এর মাঝামাঝি আত্মপ্রকাশ ঘটে জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র সংগঠন হিযবুল মুজাহিদীনের। তাদের বক্তব্য হচ্ছেÑ ‘সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির ইসলামীকরণ এবং উম্মার ঐক্য। ’৯২ সালে খিলাফৎ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। জঙ্গী তৎপরতার প্রথম দুই বছরে আরও সংগঠনের উদ্ভব ঘটে। তারা সকলেই বলে সংগ্রামের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে জিহাদ। তারা যে কোন রকম আলোচনা এমনকি ত্রিপক্ষীয় আলোচনার প্রস্তাবও নাকচ করে দেয়। এই গ্রুপগুলো পূর্বতন যে ধারণাÑ কাশ্মীরী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিও নাকচ করে দেয়। ’৯২-এর নবেম্বর গঠিত হয় ‘দুখতারান-ই-মিল্লাত’। চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে তারা বলে, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরের একীভূত হওয়া হচ্ছে উম্মাহ্র ঐক্যের ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ। কাশ্মীর সমস্যার অন্য যে কোন সমাধান হবে ইসলামবিরোধী। যেহেতু আমরা বিশ্বে ইসলামিক খিলাফৎ প্রতিষ্ঠা করতে চাই তার সমগ্র মুসলিম উম্মাহ্র একক খিলাফৎ হতে হবে।’ এই সময়ে হিযবুল মুজাহিদীন এক ঘোষণায় বলে, ‘আমাদের লক্ষ্য সমগ্র বিশ্বে একক ইসলামিক খিলাফৎ গঠন। আমরা কোন রাষ্ট্রের আদর্শিক বা ভৌগোলিক সীমারেখা মানি না।’ জঙ্গীদের আরেক দল জমিয়তে মুজাহিদীন ঘোষণা করেছেÑ ‘আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের দাবি চলমান আন্দোলনের ভাবমূর্তি বিকৃত করছে। এটা হচ্ছে খিলাফৎ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরের একীভূত হওয়া ছাড়া অন্য যে কোন দাবি হবে আন্দোলন বিক্রি করে দেয়ার শামিল।’ দুখতারান-ই-মিল্লাত এই সময় আরেক বক্তব্য হাজির করেÑ ‘ইসলামিক এবং স্বাধীনতা দুটি স্ববিরোধী দাবি।’ ’৯২-এর অক্টোবরে হরকতউল মুজাহিদীন তাদের দলে আফগান মুজাহিদীনদের অন্তর্ভুক্ত করে। দলীয় কর্মীদের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তারা বলে, ‘কাশ্মীরী আন্দোলন প্রকৃতপক্ষে একটি ইসলামিক আন্দোলন। এই আন্দোলনের জন্ম হয়েছে আফগানিস্তান থেকে।’ ইসলামিক খিলাফতের ধারণাটি এসেছে পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর কাছ থেকে। আফগানিস্তানে যুদ্ধরত মুজাহিদীনদেরও জন্ম এবং প্রশিক্ষণ ঘটেছে পাকিস্তানের মাটিতে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর দ্বারা। পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর আমীর কাজী হুসেইন আহমদ ’৯২-এর ফেব্রুয়ারিতে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ পালন করতে গিয়ে রাওয়ালপি-ির জনসভায় বলেছিলেন, ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতার পর কাশ্মীর থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত এক বিশাল ইসলামিক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটবে।’ ’৯২-এর ফেব্রুয়ারিতে ইকনমিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (ইকো)-এর দুই দিনব্যাপী শীর্ষ বৈঠকে প্রতিষ্ঠাতা তিন সদস্য পাকিস্তান, ইরান ও ইরাক ছাড়াও যোগ দেয় আজারবাইজান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কিরঘিজস্তান ও তাজিকিস্তান। এই বৈঠকে কাশ্মীরে জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে নেওয়াজ শরীফের তথ্যমন্ত্রী মুশাহিদ হোসেন ‘দি নেশন’ পত্রিকায় তখন লিখেছিলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য ইকো হচ্ছে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার উপযুক্ত সেতু এবং একই সঙ্গে এটা কাশ্মীরীদের সংগ্রামের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কারণ, কাশ্মীর ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে মধ্য এশিয়ারই সম্প্রসারণ।’ পাকিস্তান এভাবেই কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে ভারত থেকে। গত তিরিশ বছর ধরে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বহুজাতিক মুজাহিদীন বাহিনীকে যাবতীয় অর্থ ও অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে। আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে শতাধিক প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালিত হচ্ছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। ধারাবাহিকভাবে এই প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা উন্নততর করা হয়েছে। আইএসআই ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী এবং মার্কাযে দাওয়া আল ইরশাদও কাশ্মীরী জঙ্গীদের পৃথকভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের মাটিতে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যে জঙ্গীরা নিহত হয়েছে কিংবা গ্রেফতার হয়েছে দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই অকাশ্মীরী। অধ্যাপক রিয়াজ পাঞ্জাবী মনে করেন, এখন কাশ্মীরীদের অনেকের মোহভঙ্গ ঘটেছে খিলাফৎ ও জিহাদ সম্পর্কে। যে কারণে হুরিয়াতের নেতারা এখন প্রকাশ্যে আর জিহাদ শব্দটি ব্যবহার করেন না। কাশ্মীরীদের স্বাধীনতার আন্দোলন এক সময় ইউরোপীয়দের যথেষ্ট সহানুভূতি অর্জন করেছিল। কিন্তু জঙ্গীদের দ্বারা বেশ কয়েক জন ইউরোপীয় পর্যটকের অপহরণ এবং পরবর্তী পর্যায়ে পাঁচজনকে আটক রেখে একজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে জঙ্গীরা পশ্চিমের সহানুভূতির বহুলাংশে হারিয়েছে। পরিস্থিতি এভাবেই পরিবর্তিত হচ্ছে। অধ্যাপক রিয়াজ পাঞ্জাবী বলেছেন, কাশ্মীরের সমাজ ও সংস্কৃতি কখনও মৌলবাদ গ্রহণ করেনি। কিছু সময়ের জন্য মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে বটে কিন্তু এর বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হচ্ছে। মেয়েরা বোরখা পরতে অস্বীকার করেছে। তারা রাস্তার নেমে প্রতিবাদ করেছে। শরিয়া আদালতের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। অধ্যাপক রিয়াজ সবেশেষে বলেছেন, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করার জন্য পাকিস্তান ও ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে। অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করতে হবে, শুধু জঙ্গীদের নয়, ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীকেও। আলোচনা করতে হবে সবার সঙ্গে। গণতন্ত্রের পরিধি আরও বাড়াতে হবে। সত্তর বছর ধরে সংবিধানের ৩৭০ ধারার অধীনে কাশ্মীর গণতন্ত্রের পরিধি বৃদ্ধি দূরে থাক, গণতান্ত্রিক কোন প্রতিষ্ঠান বা মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। জঙ্গী মৌলবাদীরা যেভাবে কাশ্মীরের সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতির মৌলবাদীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি তখনই সফল হবে যখন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এর সুফল প্রত্যক্ষ করবে। (ক্রমশ.)
×