ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন ট্রাম্প প্রশাসনের

প্রকাশিত: ১১:৪১, ২২ আগস্ট ২০১৯

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন ট্রাম্প প্রশাসনের

তাইওয়ানের কাছে ৮শ’ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এ কথা জানিয়েছে। চুক্তির আওতায় তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৬টি নতুন এফ-১৬ সি/ডি জঙ্গীবিমান পাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ ও হংকংয়ে চলমান চীনবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে এই পদক্ষেপ বেজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও তিক্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিএনএন। ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও এই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি সিএনএনকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানের সঙ্গে অস্ত্র বিক্রি চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তবে কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা চীনের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের আশঙ্কায় শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান এই অস্ত্র চুক্তি বেজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক প্রভাবিত করা ছাড়াও এবং চলমান সম্পর্ক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ওয়াশিংটন-তাইওয়ানের মধ্যে বৃহৎ পরিসরের অস্ত্র চুক্তি বেজিং-তাইপের মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে ফাটল ধরাতে পারে। তাইওয়ান চীনের একটি স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান অস্ত্র চুক্তির খবর প্রকাশ্যে আসার পর বেজিং এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানায়। শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং বলেন, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি চীনা সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে খাটো করার নামান্তর। চীন এই ধরনের পদক্ষেপ কঠোরভাবে নিন্দা জানাচ্ছে। বিষয়ে চীনের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে তাইওয়ান কার্ড খেলতে চাচ্ছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র চায়না ডেইলি এক প্রতিবেদনে সাফ জানায়, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের এখনই বাতিল করতে হবে। শুধু তাই নয়, তাইওয়ানের সঙ্গে দেশটির সকল প্রকার বাণিজ্য যোগাযোগও বাতিল করতে হবে। এর পরিণতিতে বেজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকবে। পাশাপাশি এই ধরনের সিদ্ধান্তে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা চরম আকার ধারণ করবে বলেও চায়না ডেইলি জানায়। হংকংয়ে চলমান চীনবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বেজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কেননা, চীন মনে করে, হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। বারাক ওবামা আমলের হোয়াইট হাউসের এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ও বর্তমানে জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইভান মেডিরস বলেন, হংকংয়ে চলমান চীনবিরোধী বিক্ষোভ ও চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য লড়াইয়ের মধ্যে তাইওয়ান ওয়াশিংটনের কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয়কে একটি মোক্ষম সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে। তবে এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
×