ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জেল জরিমানা

গুলশান ১ মার্কেটে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্য বিক্রি

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২২ আগস্ট ২০১৯

গুলশান ১ মার্কেটে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্য বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদেশী সব নামী-দামী পণ্যের মেয়াদ বাড়ানো ও নকল করার অভিযোগে গুলশানের ছয় প্রতিষ্ঠানকে জেল জরিমানা করা হয়েছে। র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এ আদেশ দেন। গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশী সব নামী-দামী ব্র্যান্ডের পণ্য। কসমেটিক ও শিশু খাদ্যের বেশ কিছু পণ্য ঢাকায় বসে নকল করে দোকানে তোলা হয়। বুধবার দুপুরে শুরু হয় এই অভিযান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, মার্কেটের কোন দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার মজুদ ও বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকিতে অভিযান চালানো হয়। তখন ধরা পড়ে ছয়টি প্রতিষ্ঠান ভয়াবহ আকারে নকল পণ্য তৈরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ মোড়ক লাগিয়ে নষ্ট পণ্যকে বাজারজাত করা হচ্ছে। অভিযানের প্রথমে এস এ ট্রেডার্সকে পণ্য নকল করার দায়ে জরিমানা করা হয়। রায়হান এন্টারপ্রাইজকে ১৫ লাখ, রামীম ট্রেডার্সকে ৫ লাখ, মুজিবুর ট্রেডার্সকে ১০ লাখ, হেলাল এন্টারপ্রাইজ ৫ লাখ ও আরএমএনকে জেল জরিমানা করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- প্রদান করা হয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালত তূর্য ট্রেডার্সে অভিযান চালাচ্ছিল। এদিকে স্কুলের সামনে পসরা সাজিয়ে রকমারি সব ভেজাল ফাস্টফুডের দোকান দেখে অবাক বনে যান অভিযানকারীরা। এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ সস জেলিসহ বিভিন্ন ভেজাল খাবার। বুধবার রাজধানীর ফার্মগেট হলিক্রস স্কুল এ্যান্ড কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমন প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ অভিযোগে তিন দোকানের জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে একটি দোকান। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোঃ আবদুল জাব্বার ম-ল। এ সময় সার্বিক সহযোগিতা করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। আবদুল জাব্বার ম-ল সাংবাদিকদের জানান, বুধবার ফার্মগেট এলাকায় হলিক্রস স্কুল এ্যান্ড কলেজের পাশে অবস্থিত আশিক ফাস্টফুডকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ জেলি, সস ইত্যাদি বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন রৌশনী ফাস্টফুডকে পাউরুটি, কেকের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদনের তারিখ না লেখার অপরাধে ২০ হাজার টাকা এবং আনন্দ হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী প্রক্রিয়াজাত করণের অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি জনস্বার্থে সাময়িকভাবে হোটেলটি বন্ধ রাখা হয়।
×