স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাহালমের ঘটনায় জড়িত ১১ জনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় হাইকোর্ট। আগামী ২৮ আগস্ট এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। এদিকে জাহালমের ঘটনায় জড়িত দুদকের ১১ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়ে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে ওই ১১ কর্মকর্তার নাম, পরিচয় ইত্যাদি বিষয় পূর্ণাঙ্গভাবে উল্লেখ না করায় প্রতিবেদন গ্রহণ না করে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
এদিকে দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেছে, সরষের মধ্যে ভূত থাকার দরকার নেই। আমরা চাই, সরষে সরষেই থাকুক। এতে আপনাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তখন খুরশীদ আলম খান বলেন, আমাদের নয় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। শুনানির সময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোঃ আসাদুজ্জামান ও সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মোঃ জাকির হোসেন। গত ১৭ এপ্রিল জাহালম কা-ে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুদকের প্রতিবেদন চেয়েছিল আদালত। সে অনুসারে দুদকের পরিচালক (লিগ্যাল) এবং এ সংক্রান্ত দুদকের তদন্ত কমিটির প্রধান আবুল হাসনাত মোঃ আব্দুল ওয়াদুদের দেয়া প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, আদালতের এ নির্দেশনা মোতাবেক একটি প্রতিবেদন দিয়েছি। আদালতকে দেখিয়েছি ১১ জন তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। তারা এর জবাব দিয়েছে। দুদক তাদের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে। আর এই ঋণ জালিয়াতির ৩৩টি মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: