ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এলাকাভিত্তিক কৃষি যন্ত্রের চাহিদা জানাতে নির্দেশ দিলেন কৃষি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:১৪, ২২ আগস্ট ২০১৯

 এলাকাভিত্তিক কৃষি যন্ত্রের চাহিদা জানাতে নির্দেশ দিলেন কৃষি মন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা দ্রুততার সঙ্গে কোন এলাকায় কোন যন্ত্রের কত চাহিদা তা জানাতে হবে এবং মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত চিত্র মূল্যায়নের কাজ ও এলাকা চিহ্নিতকরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বিষয়ে সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের জমির আকার ও মাটির ভিন্নতা রয়েছে। আমাদের মাটি ও জমির উপযোগী কৃষিযন্ত্র কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কৃষি যন্ত্রের ক্ষেত্রে দামের দিকে গুরুত্ব নয় বরং মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। চাহিদার ভিত্তিতে কৃষিযন্ত্র সরবরাহ করতে হবে। ভাল টেকসই মেশিনের দাম বেশি হলে সেটাই গ্রহণ করা হবে। কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে কৃষকদের জন্য সহজ কিস্তি সুবিধা দেয়া যায় কিনা সেটাও দেখতে হবে। কাজটা কঠিন তবে সততার সঙ্গে কাজ করলে সম্ভব। যন্ত্র মেরামতকারী ও ব্যবহারকারীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিটি কোম্পানির যন্ত্রই পরীক্ষা করে মাঠে নামাতে হবে। এর সঙ্গে মানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে কিনা তাও দেখতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে মাঠ পর্যায়ের এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষককে কিভাবে লাভবান করা যায় তা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। গুণগতমান ও যন্ত্রের আকার একটা বড় ব্যাপার সেটা মনে রাখতে হবে। যন্ত্রের মেরামত ও খুচরা যন্ত্রাংশের নিশ্চয়তা এবং সহজ লভ্যতা করতে হবে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকে। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা (সম্প্রসারণ অনুবিভাগ), ড. আব্দুর রউফ (পিপিসি অনুবিভাগ), বিএডিসি’র চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রকল্পের বিষয় উপস্থাপন করেন কৃষি প্রকৌশলী শেখ নাজিম উদ্দিন।
×